Tuesday, December 27, 2016

চাতুরী করিয়া মোরে

D#

চাতুরী করিয়া মোরে, বান্ধিয়া পিরিতের ডোরে
(ওরে) বিচ্ছেদ সাগরে ভাসাই গেলি রে বন্ধুয়া
সাদা দিলে কাঁদা লাগাই গেলি

পিরিতি আগে বুঝি নাই, তুই পিরিতি শিখাইলি তাই
তুই নিষ্ঠুরে ক্যামনে কইরা ভুলি (হায়)
কত না সোহাগ করিয়া, হাউসে পিরিত শিখাইয়া
কোন পরাণে গেলি আমায় ফেলি রে বন্ধুয়া ।।


কত দিনের কত কথা, হৃদয়ে মোর আছেরে গাঁথা
তুই কি নিঠুর ভুইলাছি সকলই (হায়)
আমি কানতে কানতে ঘুমাই যখন, স্বপ্নে তোরে দেখি তখন
পাইনা তোরে আবার চোক্ষু মেলিরে বন্ধুয়া।।


রিটার্ন টিকেট হাতে লইয়া

A#-Dm

রিটার্ন টিকেট হাতে লইয়া আইসাছি এই দুনিয়ায়
টাইম হইলে যাইতে হবে যাওয়া ছাড়া নাই উপায়।।

ও মন কোন গাড়িতে আইস ছিলাম কোন গাড়িতে যাব
দুই দিনেরই স্টেশন এ সেই কথা কি ভাববো রে মন সেই কথা কি ভাবো
খবর ছাড়াই বইসা আচ কোন সুজনের অপেক্ষায়।।

ও মন নিক্তিমেপে মালসামানের হিসাব দিতে হবে
বাজলে সিটি সেই হিসাবের সময় কি আর হবে
ভেজাল সহ ধরব যখন পরবে কঠিন অবস্থায়।।

বকুল ফুল বকুল ফুল

বকুল ফুল বকুল ফুল
সোনা দিয়া হাত কেনে বান্ধাইলি।

শালুক ফুলের লাজ নাই
রাইতে শালুক ফুটে (লো)
যার সনে যার ভালোবাসা,
সেইতো মজা লুটে।।

আমার জামাই ধান বায়
হরিণডাঙার মাঠে (লো
সোনা দেহে ঘাম ঝরে
দেইখা পরাণ ফাটে।।

শাওন ভাদর মাসে
জামাই আদর করে (লো)
ইচ্ছে জামাই করবো আদর
দানাতো নাই ঘরে।।

Sunday, November 13, 2016

তুই আমার জীবন রে বন্ধু

D#
তোমারে না দেখলে
আমার ঘরে রয় না মন রে
তুই আমার জীবন রে বন্ধু
তুই আমার জীবন।।

তোমার আমার ভালবাসা
জানে সর্ব জন
অন্ধের চোখের মণি তুমি
সাত রাজারই ধন রে।।

একবার যদি পাইতাম তরে
করিতাম যতন
অঙ্গেতে ছিটাইয়া দিতাম
তুলসী চন্দন।।

নগরে বন্দরে ঘুরি
পাইতে দর্শন
কয় সালামে মনে হইলে
ঝরে দুই নয়ন রে।।


---------------------
বাউল সালাম

Thursday, November 3, 2016

তুই যদি হইতি গলার মালা

D#
তুই যদি হইতি গলার মালা রে রঙ্গীলা
আদরে গলে পরাইয়া, স্বহস্তে আয়না ধরিয়া
সাধ মিটাইতাম দেখিয়া নিরালা রে রঙ্গীলা।।

তুই হইলে প্রেমের সাগর আমি যাইয়া জলের উপর 
ভাসিয়া রইতাম হইয়া শ্যাওলা 
প্রেম বাতাসে ঢেউ লাগিয়া  পোড়া প্রাণ যাইত জুড়াইয়া 
দূর হইতো প্রেম আগুনের জ্বালা রে রঙ্গিলা।।

তুই হইলে শিরের কেশ  চিরুনি করিতাম বেশ 
চান করে বান্ধিতাম দুপুর বেলা 
বসিয়া তোমার সঙ্গে থাকতাম আমি প্রেম তরঙ্গে 
মনের সাথে খেলতাম প্রেম খেলা ও রঙ্গীলা।।

তোমারে জানিয়া পানি  আমি হইয়া চাতকিনী 
পন্থে চাইয়া হইয়াছি একেলা 
আমায় লোকে মন্দ কয় তোর প্রেমের কলঙ্ক রয় 
এই দুর্বিনে তোর প্রেমের পাগলা চিকন কালা।
-------------------
দুর্বিন শাহ

Tuesday, November 1, 2016

আমার বন্ধু দয়াময়

আমার বন্ধু দয়াময়
তোমারে দেখিবার মনে লয়
তোমারে না দেখলে রাধার
জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।।

কদম ডালে বইসারে বন্ধু
ভাঙ্গ কদম্বের আগা
শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া
যৌবনকালে দাগা রে।।

তমাল ডালে বইসারে বন্ধু
বাজাও রঙের বাশি
সুর শুনিয়া রাধার মন
হইলো যে উদাসী রে।।

ভাইবে রাধা রমণ বলে
মনেতে ভাবিয়া
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিল-ই জ্বালাইয়া রে।।

রাধারমন

শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধু রে

শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধু রে
নিরলে তোমারে পাইলাম না
আমার মনে যত দুঃখ
আমি খুলিয়া কইলাম না বন্ধুরে।।

ফুলের আসন ফুলের বসন রে
বন্ধু ফুলের বিছানা
ওরে নীল কমলে ছুয়া চন্দন
আমি ছিটাইয়া দিলাম না বন্ধু রে।।

আগে যদি জানতাম বন্ধু রে
যাইবায় রে ছাড়িয়া
ওরে দুই চরণ বান্ধিয়া রাখতাম
আমার মাথার কেশ দিয়া বন্ধু রে।।

ভাইবে রাধা রমণ বলে রে বন্ধু
মনেতে ভাবিয়া
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিলা জ্বালাইয়া বন্ধুরে
নিরলে তোমারে পাইলাম না।।

রাধারমন

এসব দেখি কানার হাট বাজার

D#m
গুরু গো.. ও ও ও …

B
বেধ বিধির পথ শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার
এসব দেখি কানার হাট বাজার।।

এক কানা কয় আর এক কান।রে
চল এবার ভব পারে
নিজে কানা  পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারং বার।।

পন্ডিত কানা অহংকারে
সাধু কানা অন্-বিচারে
মোড়ল কানা চুগলখোরে
আন্দাজে এক খুটি গেরে
জানেনা সীমানা কার।।

কানায় কানায় হোলা মেলায়
বোবাতে খায় রস গোল্লা গো
আবার লালন বলে মদনা কানা
ঘুমের ঘোরে দেয় বাহার।।

আকাশ টা কাপছিল কেন

আকাশ টা কাপছিল কেন যমিন টা নাচছিল কেন,
বড় পীর ঘামছিল কেন সেইদিন সেইদিন
গান গাইিছেলন খাজা যেইদিন যেইদিন ।।

আল্লাহ নবীজীর শান পীর আউলিয়ার শান
যে বলে হারাম সে তো গ্যানহীন,
না বুঝে বেত বাতেন হারাম তোমরা বল কেন
এই গান শুনেছিলেন নবী ইয়াছিন।।

না করে গন্ডগোল খুল তোরা হাদিস খোল
বিল্লাল কেন বাজায় ঢোল সেই দিন সেইদিন।
যেদিন দীনের নবী ছেড়ে যায় পৃথিবী
ঢোল বাজায়ইয়া ক্ষমা চায় রীন চায় রীন।।

সুর দিয়া দেয় আজান , সুর করে পরে কুরআন
সুর করে করে বয়ান মুহাজির মুহাজির
কয় সরকার শাহআলম আছে গান দুই রকম,
সু গানে স্বাগতম মুমিন।।

সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি

D#
বাঁশি শুনে আর কাজ নাই
সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি
সে যে দিন-দুপুরে চুরি করে
রাত্রিরেতে কথা নাই।।

শ্রবণে বিষ ঢালে শুধু বাঁশি
পোড়ায় প্রাণ গড়লে
ঘুচাব তার নষ্টামি আজ আমি
সপিব তাই অনলে।।

ও…বাঁশেতে ঘুণ ধরে যদি কেন
বাঁশিতে ঘুণ ধরে না
কতজনায় মরে শুধু পোড়া
বাঁশি কেন মরে না।।

মন কেনো এতো কথা বলে

D#m

কে বলে পাগল  সে যেনো কোথায়
রয়েছে কতই দূরে
মন কেনো এতো কথা বলে
পাগল মন মন রে
মন কেনো এতো কথা বলে।।

মনকে আমার যত চাইরে বুঝাইতে
মন আমার চায় রঙের ঘোড়া দৌড়াইতে।।

আমি বা কে আমার মনটা বা কে (?)
আজো পারলাম না আমার মনকে বুঝিতে।।

আশি তোলায় সের হইলে চল্লিশ সেরে মণ
মনে-মনে এক মন না হইলে মিলবে না ওজন।।

নিশিতে যাইও ফুলবনে

D#
নিশিতে যাইও ফুলবনে– রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।
জ্বালায়ে চান্দের বাতি
আমি জেগে রব সারা-রাতি গো;
কব কথা শিশিরের সনে– রে ভোমরা।।

যদিবা ঘুমায়ে পড়ি-
স্বপনের পথ ধরি গো,
তুমি নীরব চরণে যাইয়ো– রে ভোমরা।।

(আমার ডাল যেন ভাঙে না,
আমার ফুল যেন ভাঙে না,
ফুলের ঘুম যেন ভাঙে না)।
তুমি নীরব চরণে যাইয়ো  – রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।

—————-
জসীম উদ্দীন

নতুন প্রেমে মন মজাইয়া

D#
নতুন প্রেমে মন মজাইয়া
করেছি কি মস্ত ভুল,
আমার লাভের মাঝে কি লাভ হইলো
গলাতে কলংকের ঢোল।।

সখিগনকে করি মানা
এমন প্রেম আর কইরোনা
আমার মত প্রেম করিয়া
জনম ভইরা কাইন্দো না।
আমার দুই-একটা দিন যায় নারে ভালো
লাগে শুধুই গণ্ডগোল।।

মিষ্টি মিষ্টি কথা কইয়া
মন নিয়াছো কাড়িয়া
ভ্রমর যেমন খায়রে মধু
ফুলেতে আসন দিয়া।।
আমার দুই-একটা দিন যায় নারে ভালো
লাগে শুধুই গণ্ডগোল।।

লোকে বলে মন দিলে

F
লোকে বলে মন দিলে মন পাওয়া যায় সই আমি বলি না
মন শুধু নিতে জানে গো, দিতে জানে না (বন্ধু)।।

জানতাম যদি মন দিয়া কেন এমন হয়
পিরিতে বান্ধাইয়া মোরে সে যে দুরে রয়
এইকি রে পিরিতের রীতি বন্ধু আগে জানতাম না।।

সরলে গরল মিশাইয়া কান্দাইলি আমারে
সেই কলংঙ্কের বিচার তোমায় গো ধর্মে যেন করে।

শোন শোন নগরবাসী/(গ্রাম) শোন আমার গান
আমার মত পিরিত কইরা দিয়ো না কেউ প্রান
জ্বালা শুধু দিতে জানে বন্ধু জ্বলতে জানে না।।

আমার সোনার ময়না পাখি

D#
আমার সোনার ময়না পাখি
কোন দোষেতে গেলা উইড়া রে
দিয়া মোরে ফাঁকি রে।।

সোনা বরন পাখিরে আমার কাজল বরন আঁখি
দিবানিশি মনে চায় ও রে বাইন্দা তোরে রাখি রে।।

দেহ দিছি প্রান ওরে দিছি আর নাই কিছু বাকী
সাত ফুলের মাজন দিয়ারে অঙ্গে দিছি মাখিতে রে।।

যাইবা যদি নিঠুর পাখি ভাসাইয়া আঁখি
এই জীবন যাবার কালে রে একবার যেন দেখি রে।।

কি বাশী বাজাইয়া গেলিরে

D#
কি বাশী বাজাইয়া গেলিরে বন্ধু পরান নিলি হরে
পাগল করিলো মোরে ওই না বাশীর সুরে রে।।

রেখাবে ধৈবতে দিয়া তান শুনাইলি তুই আমার নামের গান
ত্রিভুবন তুই মাতাইলি কেমনে রই ঘরে।।

কি মায়া জাগাইলি বন্ধু আমারই অন্তরে
দিবানিশি তোর লাগিয়া দুটি (দুইটি) নয়ন ঝরে রে।

আগে যদি জানতাম কালা তোর বাশির সুরে এতই জ্বালা
আমি আসতামনা আর কদম তলায়
কোন দিনের তরে।।

কে কান্দেরে বিনয় করে

C
কে কান্দেরে বিনয় করে কি যেন কি কইয়া
নিশি রাইতে কদম তলায় রে পাগলীনি হইয়া
ও প্রান বন্ধু রে।।

নিঝুম রাইতে বিরহীনি রে আরে ওরে বন্ধু  কাইন্দা কাইন্দা মরে
তার কান্দনে বনের পাখিরে বক্ষ ভাসায় নীরে।।

কিযে দারুন ব্যাথা মনেরে আরে ওরে বন্ধুরে কান্দে রইয়া রইয়া
ঘর ছাড়া কইরাছে তারে রে সেবা কেমন জনে।।

ছল করিয়া কাইরা নিছে রে আরে ওরে বন্ধুরে অবলার মন
জানিনা যে এত জ্বালা রে কেমনে ভাগ্যে সই।।

কান্দে হাছন রাজার মন ময়নায় রে

D#
মাটির পিঞ্জিরার মাঝে বন্দি হইয়া রে 
কান্দে হাছন রাজার মন ময়নায় রে।।

মায়ে বাপে বন্দি হইলো খুশির মাঝারে
লালে ধলায় হইলাম বন্দি পিঞ্জিরার ভিতরে।।

পিঞ্জিরায় সামাইয়া ময়নায় ছটফট ছটফট করে
মজবুত ও পিঞ্জিরা ময়না ভাঙ্গিতে না পারে।।

ময়নারে পালিতে আছি দুগ্ধ কলা দিয়া
যাইবার কালে নিঠুর ময়নায় নাচাহে ফিরিয়া রে।।

হাছন রাজা ডাকবো যখন ময়না আয়রে আয়
এমন নিঠুর ময়নায় আর কি ফিরিয়া চায় রে।।

পিঞ্জিরার পাখির মত

D#
পিঞ্জিরার পাখির মত আমি তারে উইরা যাইয়া দেখি
কোথায় গো আমার কালো পাখি।।

শিকল কাটিয়া গিয়াছে উড়িয়া গিয়াছে কোন অজানা দেশে
আমারে ভুলিয়া কার প্রেমে মজিয়া
কেবল আমারে বানাইলো চির দুখী।।

ছিল আমার প্রেমে পোষা কত ছিল ভালবাসা 
ছিল আমার অন্তর বাহিরে
সর্ব সাধন হরে নিয়া কোথায় গেল লুকাইয়া
আমি সয়নে স্বপনে তারে দেখি।।

যদিগো পাইতাম হৃদয়ে বসাইতাম শুনিতাম মধুর ও বুলি
জীবন থাকিতে না পাইলাম দেখিতে
আমার মরনের আর কয়দিন আছে বাকী।।

আমি একটা জিন্দা লাশ

D#

আমি একটা জিন্দা লাশ
কাটিস নারে জংলার বাঁশ
আমার লাইগা সাড়ে তিন হাত কবর খুঁড়িস না
আমি পিরিতের অনলে পোড়া মরার পরে আমায় পুড়িস না।।

প্রেমে পোড়া যায় না চেনা দেইখা শুধু মুখ
চেনা যায় যার জীবনে নাই একটু খানি সুখ
হায়রে একটু খানি সুখ
আমি যদি যাইগো মরে, আমার লাশটা বুকে ধরে
আমার লাইগা বন্ধু তোরা কান্না জুড়িস না।।

বুকের ভিতর মারলো অন্তর সর্বহারা শোক
আমার মত কষ্ট যেন পায় না কোন লোক
হায়রে পায় না কোন লোক
মনেরে বুঝাইলাম কত হইল না যে মনের মত
মিছে আশায় তারি পিছে মন আর ঘুরিস না।।

রজনী হইসনা অবসান

D#-F

রজনী হইসনা অবসান
আজ নিশীথে আসতে পারে বন্ধু কালাচান।।

কত নিশি পোহাইলো মনের আশা মনে রইলো রে
কেন বন্ধু আসিলোনা জুড়ানা পরান (আমার)
আজ নিশীথে আসতে পারে বন্ধু কালাচান।।

বাসর সাজাই আশার আশে আসবে বন্ধু নিশি শেষে
দারুন পিরিতের বিষে ধরিলো উজান
আজ নিশীথে আসতে পারে বন্ধু কালাচান।।

মেঘে ঢাকা আঁধার রাতে কেমনে থাকি একা ঘরেরে সাধক চানমিয়া কয় কানতে কানতে হইলাম পেরেশান।

আমার মুর্শিদ/দয়াল পরশমনি গো


আমার মুর্শিদ/দয়াল পরশমনি গো
লোহারে বানাইলায় কাঞ্চা সোনা
মুর্শিদ চরণ অমুল্য ধন (২)
জীবন থাকতে চিনলাম না।।

মুর্শিদ চরন যে করলো সাধন
বিনা দুধে দই পাতাইয়া তুইলাছে মাখন
সেই সে মাখন কর ভক্ষন (২) ভব ক্ষুধা থাকবে না।।

হৃদ কমলে যখন ফুটবে ফুল
মন ভ্রমরা জ্ঞানচোরা তোর হইবেরে আকুল
দেখলে ছবি পাগল হবি (২) কারো মানা থাকবে/শুনবে না।।

কালা সায় কয় ওরে পাগল মন
সরলে গরল মিশাইয়া হাড়াইলি রতন
সরল দেশে গেলে রে মন (২) গরলের ভাব থাকবে না।

Monday, October 31, 2016

করিমনা কাম ছাড়ে না

G#

করিমনা কাম ছাড়ে না মদনে
প্রেম রসিক হব কেমনে (আমি)।।

এই দেহেতে মদন রাজা করে কাচারি
কর আদায় করে নিয়ে যায় হুজুরি
মদন যে দুষ্টু ভারি তারে দেয় তহশিলদারি
করে সে মুন্সিগিরি গোপনে।।

চোর দিয়ে চোর ধরাধরি একি কারখানা
আমি তা জিজ্ঞাসিলে তুমি বল না
সাধু সব চুরি করে চোর দেখে পালায় ডরে
নিয়ে যায় শূন্য ভরে কোনখানে।।

লালন সাঁই যে বিনয় করে সিরাজ সাঁইর পায়
স্বামী মারিলে লাথি নালিশ করিবো কোথায়
তুমি মোর প্রাণ পতি কি দিয়ে রাখবো রতি
কেমনে হব সতী চরণে।।

আমায় এত দু:খ দিলি বন্ধুরে.....

D#
আমায় এত দুঃখ দিলি বন্ধুরে.....
বন্ধু আমি তোর প্রেমেরী দিওয়ানা রে দিওয়ানা
মন জানে আর কেউ জানে।।

প্রান বন্ধুরে.......
তোমাকে পাইব বলে ইহ জনম যায় বিফলে
প্রেম ফাঁসি লইয়া গলে হইল কি যন্ত্রনা
কলিজা হইয়াছে ছিদ্ররে
বন্ধু ধরল ঘুনে ছাড়লো নারে ছাড়লো না।।

প্রান বন্ধুরে.....
কাষ্ঠে লোহায় পিরিত করে নৌকাটি সাজাইয়া পড়ে
দুয়ে মিলে যুক্তি করে শুকনা তে থাকবেনা
তারা জলের বুকে জীবন কাটায় রে (বন্ধু)
জল ছাড়া তো বাঁচেনারে বাঁচেনারে বাঁচেনা।।

বন্ধুরে....
কাঁদাইলি নিরবধি ভাসাইলি অকুল নদী
জন্ম হইতে আইজ বুঝি তোমায় আমি পাইলাম না
যে যাহারে ভালোবাসে রে বন্ধু
ব্যবহারে যায় চেনারে যায় জানা।।


নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে ও ভ্রমরা

নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে ও ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে

(নয় দরজা করিয়া বন্ধ লইয়ো ফুলেরও গন্ধ
অন্তরে জপিও বন্ধুর নামরে ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে )

জ্বালাইয়া দিলেরও বাতি
ফুল ফুটিবে নানা জাতি গো
কতো রঙ্গে ধরবে ফুলের কলি রে ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে

(ডালপালা তার বৃক্ষ নাই
এমনও ফুল ফুটাইছে সাঁই
ভাবুক ছাড়া বুঝবে না পণ্ডিতে
ও ভ্রমরা নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে)

অধীন শেখ ভানু বলে
ঢেউ খেলাইয়ো আপন দিলেতে
পদ্ম যেমন ভাসে গঙ্গার জলে রে ভ্রমরা
নিশীতে যাইয়ো ফুলবনে।

আমার ডাল যেন ভাঙে না,
আমার ফুল যেন ছিড়ে না,
ফুলের ঘুম যেন ভাঙে না।
যেও তুমি নীরব চরণে
- রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।

নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে ও ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে।


শেখ ভানু

হাওয়ার উপর চলে গাড়ি

D#
হাওয়ার উপর চলে গাড়ি, 
লাগেনা পেট্রোল ডিজেল। 
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো,
চমৎকার গাড়ির মডেল,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।

দুই চাক্কায় করেছে খাড়া, 
জায়গায় জায়গায় স্ক্রপ মারা,
বাহাত্তর হাজার ইস্পাত দিয়া, এই সাইকেল গড়া।
চিন্তা করে দেখনা একবার,
দুইশ ছয়টা হয় এক্সেল।

নতুন সাইকেল পুরান হইবে,
কলকব্জায় জং যে ধরিবে,
বেল বাটির ঐ ঠনঠন আওয়াজ বন্ধ যে হইবে।
এককদম আগে না বাড়বে, 
হাজার বার মারলেও প্যাডেল।

ফুরাইলে সাইকেলের বাতাস, 
ওসেদিন হবে সর্বনাশ,
গিয়ার তোমার কাজ করবেনা, রাখিও বিশ্বাস। 
মনির সরকার হইয়া লাশ,
থাকবে ভব মেডিকেল।


-----------------------
মুনির সরকার

গান গাই আমার মনরে বুঝাই

C

গান গাই আমার মনরে বুঝাই
মন থাকে পাগলপারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গানে বন্ধুরে ডাকি গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাব বলে আশা রাখি না পাইলে যাব মারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গান আমার জপমালা গানে খুলে প্রেমের তালা
প্রাণ বন্ধু চিকন কালা অন্তরে দেয় ইশারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

ভাবে করিম দ্বীনহীন আসবে কি আর শুভদিন
জল ছাড়া কি বাঁচিবে মীন ডুবলে কি ভাসে মরা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।
—————-
শাহ আব্দুল করিম

বন্ধুরে কই পাবো সখি গো

F
বন্ধুরে কই পাবো সখি গো
সখি আমারে বলো না
আমার বন্ধু বিনে পাগল মনরে 
বুঝাইলে বুঝেনা।।

সাধে সাধে ঠেকছি ফাঁদে গো
সখি দিলাম ষোল আনা
আমার প্রাণ-পাখি উড়ে যেতে চায় 
আর ধৈর্য মানে না।।

কী আগুন জ্বালাইলো বন্ধে গো
সখি নিভাইলে নিভে না
জল ঢালিলে দ্বিগুণ জ্বলে 
উপায় কি বলো না।।

বাউল আব্দুল করিম বলে গো
সখি অন্তরের বেদনা
সোনার বরণ রূপের কিরণ
না দেখলে বাঁচিনা।।


————-
শাহ আব্দুল করিম

আমার অন্তরায় আমার কলিজায়

D#m

আমার অন্তরায় আমার কলিজায়
প্রেমশেল বিঁধিল, বুক ছেদে পিঠ পার হইল গো।।

মারিয়া ভুজঙ্গ তীর, কলিজা করিল চৌচির
কেমনে শিকারি তীর মারিল গো
বিষ মাখাইয়া তীরের মুখে, মারিল তীর আমার বুকে
দেহ থইয়া প্রাণটি লইয়া গেল গো।।

নতুন ও যৌবনের বেলা, আমারে পাইয়া অবলা
প্রেম শিখাইয়া কেন ছেড়ে গেল গো
জ্বালাইল প্রেমও আগুন জল দিলে তা বাড়ে দ্বিগুণ
সখি তোরা আমার উপায় বলো গো।।

ইট কমলায় ইট বানাইয়া, এক জায়গায় ভাটা সাজাইয়া
ভিতরে আগুন জ্বালাইয়া দিল গো
গোপনে জ্বলিয়া সারা, মাটি হইয়া যায় আঙ্গারা
এ দুর্বিন শার তেমনি দশা হলো গো।।



কথা: দুর্বিন শাহ

পোষা পাখী উড়ে যাবে

G#

পোষা পাখী উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে
সে আমারে ভুলবে কেমনে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে।।

খেলতো পাখী সোনালী খাঁচায় ,
কতো কি বলিতো আমায়
বসে রূপালী আড়ায়
স্ফটিকের বাতি ভরে খাবার দিতাম থরে থরে
নিঠুর পাখী আমার খেলতো আনমনে।।

জংলি পাখী করলো সর্বনাশ
শুধু করি হাই হুতাস
কোথায় করবো তারে তালাশ
বনের পাখী বনে গেল
দিয়ে আমার বুকে বিষম শেল
নিঠুর পাখী আমার গেল কোন বনে
আমি পাখীর মায়া ভুলবো কেমনে।।

পাখীর মায়ায় পড়ে কতো লোক
তারা পেল আমার মত শোক
তাদের জল ভরা দুই চোখ
অসীম গহীন বনের পাখী
(তারে) আপন বলে কেন ডাকি
পাগল বিজয় কান্দে পাখীর সন্ধানে
পাগল বিজয় কান্দে বসে বিজনে

-------------------------
কথা: বিজয় সরকার

তুমি জানো নারে প্রিয়

D#

তুমি জানো নারে প্রিয়
তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি
মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না।।


সেদিন ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায়
মৃদু মৃদু বায়ু বয়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা
মাধুর মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে
করেছিনু যামিনী যাপনা।।


(তুমি) আমায় ফেলে চলে গেলে
কি আগুন মোর বুকে জ্বেলে
একদিনও দেখতে তুমি এলে না
পাইলে দুঃখিনীর কুটিরে
দেখাইতাম অন্তর চিঁড়ে
বুকের ব্যাথা মুখে বলা চলে না।।


কাষ্ঠ-যোগে দাবানল
পুড়াইয়া বন জঙ্গল
মনের আগুন দিগুন জ্বলে নেভেনা
কত বিরহীনির অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে
জল দিলে  জ্বলে দ্বিগুণ
নিভে না– না নিভে না।।


খুঁজিলাম জনম জনম
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম
কোনখানে পাইনে তোমার ঠিকানা
পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর
আসবেকি জীবনে মোর
মনে রইলো ব্যথা ভরা বাসনা


————————
কথাঃ বিজয় সরকার

আমি জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটি কি

D#

আমি জানিতে চাই দয়াল তোমার
আসল নামটি কি
আমরা বহুনামে ধরাধামে
কত রকমে ডাকি।।

কেউ তোমায় বলে ভগবান
আর গড কেউ করে আহ্বান
কেউ খোদা কেউ জিহুদা
কেউ কয় পাপীয়ান
গাইলাম জনম ভরে মুখস্থ গান
মুখ বুলা টিয়াপাখী।।


সর্বশাস্ত্রে শুনিতে যে পাই
দয়াল তোমার নাকি মাতাপিতা নাই
তবে তোমার নামকরন কে করলে সাঁই
বসে ভাবি তাই
তুমি নামি কি অনামি সে সাঁই
আমরা তার বুঝি বা কি।।

কেহ পিতা কেহ পুত্র কয়
আবার বন্ধু বলে কেউ দেয় পরিচয়
তুমি সকলেরই সকল আবার
কারো কেহ নয়
তোমার দেওয়া আসল পরিচয়
কে জানে তা কি না কি।।


বিজয় বলে মনের কথা কই
আমি খাঁটি ভাবের পাগল নই
আমার গোল বেঁধেছে মনের মাঝে
তাতেই পাগল হই
আমার বুকে যা আই মুখে তা কই
কাঁটা কান চুলে ঢাকি


——————–
গীতিকারঃ বিজয় সরকার

ভাল আছি, ভালো থেকো

G#

ভাল আছি, ভালো থেকো,
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালাখানি,
বাউলের এই মনটা রে
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক,
খোলসের আবরনে মুক্তর সুখ
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
ভিতরের নীল বন্দরে

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম,
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরমের মূল পথ ধরে


-----------------

গীতিকারঃ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

অপরাধী হইলেও আমি তোর

A#

আমি তোর পীরিতের মরা
আমি তোর পীরিতের মরা বন্ধু
চাইয়া দেখনা এক নজর বন্ধুরে
অপরাধী হইলেও আমি তোর
তোররে বন্ধু
অপরাধী হলেও আমি তোর।।


আমায় যদি দাও তাড়াইয়া
এমন জায়গা নাইরে গিয়া
এ অভাগার জুড়াইতাম অন্তর
তুমি যদি ঘৃণা রাখো
আমি তোরে করিনা পর।।

কত দুঃখ আমার বুকে
দেখতে আসে পাড়ার লোকে
তোর কি নাই কলঙ্কেরই ডর
আমি যদি যাই মরিয়া
কে করবে তোরে আদর।।


——————-
কথা: উকিল মুন্সি

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

Fm

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া
অন্তরে তুষেরই অনল জ্বলে গইয়া গইয়া।

ঘর বাঁধলাম প্রাণবন্ধের সনে
কত কথা ছিল মনে গো
ভাঙ্গিল আদরের জোড়া
কোনজন বাদী হইয়া
জ্বলে গইয়া গইয়া।।

কার ফলন্ত গাছ উখারিলাম
কারে পুত্র শোকে গালি দিলাম গো,
না জানি কোন অভিশাপে
এমন গেল হইয়া।
জ্বলে গইয়া গইয়া।।

কথা ছিল সঙ্গে নিব
সঙ্গে আমায় নাহি নিল গো
রাধারমন ভবে রইল
জিতে মরা হইয়া।
জ্বলে গইয়া গইয়া।।



সুরকারঃ বিদিত লাল দাস
গীতিকারঃ রাধারমণ

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।

C

মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।।

এই মানুষে মানুষ গাথা
গাছে যেমন আলকলতা।
জেনে শুনে মুড়াও মাথা
জাতে ত্বরবি।।

দ্বিদলে মৃণালে
সোনার মানুষ উজলে।
মানুষ গুরুর কৃপা হলে
জানতে পাবি।।

মানুষ ছাড়া মন আমার
পড়বি রে তুই শূন্যকার।
লালন বলে মানুষ আকার
ভজলে তারে পাবি।।

তুমি বিনে আকুল পরাণ

তুমি বিনে আকুল পরাণ
থাকতে চায় না ঘরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমি এই মিনতি করি রে
এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে ।।

সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান
তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার
দেহ-মন-প্রাণ
সর্বস্ব ধন করিলাম দান
তোমার চরণের তরে।।

আমারে ছাড়িয়া যদি যাও
প্রতিজ্ঞা করিয়া বলো
আমার মাথা খাও
তুমি যদি আমায় কান্দাও
তুমি যদি আমায় কান্দাও
তোমার কান্দন পরে রে।।

কুল-মান গেলে ক্ষতি নাই আমার
তুমি বিনে প্রাণ বাঁচেনা
কি করিব আর?
তোমার প্রেম-সাগরে
প্রেম-সাগরে তোমার করিম যেন ডুবে মরে।।

মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি

একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে।।

থাকের একটা কেস বানাইয়া মেশিন দিলো তার ভিতর
ওরে রং বেরংয়ের বার্নিশ করা দেখতে ঘড়ি কি সুন্দর।
ঘড়ির তিন পাটে তে গড়ন সারা, এই বয়লারের মেশিনের গড়া।
তিনশ ষাটটি ইশকুররম মারা ষোলজন পাহারা আছে।।

ঘড়ি হেয়ার স্প্রিং ফ্যাপসা কেচিং লিভার হইলো কলিজায়
আর ছয়টি বলে আজব কলে দিবানিশি প্রেম খেলায়।
ঘড়ি তিন কাটা বার জুয়েলে মিনিট কাটা হইলো দিলে
ঘন্টার কাটা হয় আক্কেলে মনটারে সেকেন্ডে দিসে।।

ঘড়ির কেসটা বত্রিশ চাকের, কলে কব্জা বেসুমার
দুইশো ছয়টা হাড়ের জোড়া, বাহাত্তর হাজারও তার।
ও মন, দেহঘড়ি চৌদ্দতলা, তার ভিতরে দশটি নালা,
একটা বন্ধ নয়টা খোলা গোপনে এক তালা আছে।।


ঘড়ি দেখতে যদি হয় বাসনা চলে যান ঘড়ির কাছে,
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে ঘড়ির ভিতর লুকাইছে,
ঘড়ির ভিতর লুকাইছে।
পর্দারও সত্তর হাজারে তার ভিতলে লড়ে চড়ে
জ্ঞান নয়ন ফুটলে পরে দেখতে পারবেন চোখের কাছে।।

ওস্তাদ আলাউদ্দিনে ভেবে বলছেন, ওরে আমার মনবোকা,
বাউল রহমান মিয়ার কর্মদোষে হইল না ঘড়ির দেখা।
আমি যদি ঘড়ি চিনতে পারতাম, ঘড়ির জুয়েল বদলাইতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইবো  কেমন যাই মিস্ত্ররীর কাছে?।।

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

Em
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম।।

হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইত
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান  আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম।।

বর্ষা যখন হইত, গাজির গান আইত,
রংগে ঢংগে গাইত আনন্দ পাইতাম।
কে হবে মেম্বার, কে বা গ্রাম সরকার
আমরা কি তার খবরও লইতাম ।।

বিবাদ ঘটিলে  পঞ্চায়েতের বলে
গরীব কাংগালে বিচার পাইতাম ।।
মানুষ ছিল সরল ছিল ধর্ম বল ।।
এখন সবাই পাগল বড়লোক হইতাম ।।

করিযে ভাবনা সেই দিন আর পাব না
ছিল বাসনা সুখি হইতাম ।।
দিন হতে দিন,  আসে যে কঠিন
করিম দীনহীন কোন পথে যাইতাম।।

বসন্ত বাতাসে সইগো

বসন্ত বাতাসে সইগো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে।।

বন্ধুর বাড়ির ফুলবাগানে
নানান রঙের ফুল
ফুলের গন্ধে মন আনন্দে
ভ্রমর হয় আকুল।।

বন্ধুর বাড়ির ফুলের টুঙ্গি
বাড়ির পূর্বধারে
সেথায় বসে বাজায় বাঁশী
মন নিল তার সুরে।।

মন নিল তার বাঁশীর তানে
রূপে নিল আঁখী
তাইতো পাগল আব্দুল করিম
আশায় চেয়ে থাকি।।

কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু

F
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখবি তোর মন
কেমনে রাখবি তোর মন
আমার আপন ঘরে বাধিরে বন্ধু।।

পাড়া পড়শী বাদী আমার বাদী কাল ননদী
মরম জ্বালা সইতে নারি
দিবা নিশি কাঁদিরে বন্ধু।।

কারে কী বলিব আমি নিজেই অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু।।

পাগল আব্দুল করিম বলে হলো এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে আছে ঔষধি রে বন্ধু।।

চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু, মনে যদি লয়

D
চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু, মনে যদি লয়
কাগজ গেলো দিস্তায় দিস্তায়, কলম গোটা ছয়।।
মাস গেলো তেইশ চব্বিশ, বছর গেলো দুই
দুই বছরেও চিঠির উত্তর দিলি না রে তুই (হায় হায়)
কি যে করি এতো দেরী, পরানে না সয়।।
কালি ছিল দোয়াত ভরা, বাতি ভরা তেল
এক পয়সার লাভ হইল না, সব গেলো বিফল (হায় হায়)
এখন দরে দামে পোষান যায় না, দ্বিগুণ খরচ হয়।।
লেখতে বসলে শেষ হইত না, নিশি হইত ভোর
তবু যেন ফুরাইত না, মনের কথা মোর (হায় হায়)
বেড়ার ফাঁকে দেখতাম কত পূবের সূর্যোদয়।।


শিল্পী : মুজিব পরদেশী

আমার মনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ

A#
আমার মনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ তোমারে না পাইয়া
পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা
বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।।

পাশানে বান্ধিয়া হিয়া —-
সব নিল কাড়িয়া ।
তুমি কোন পরানে আছ বন্ধু
কোন পরানে এ আছ বন্ধু
কইয়া গেলা না...।।


মনের ঘরে দাগা দিয়া
বন্ধু গেলা চলিয়া ।
আমার আশার তরী আশায় রইল
আশার তরী আশায় রইল
তুমি বাইলানা..।।

আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলা রে

F

আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলা রে।
দিনে রাইতে তোমায় আমি খুইজা মরি রে।।

প্রথম দেখার কালে বন্ধু কথা দিয়েছিলে
ভুলিবে না মোরে এ জীবন গেলে।
যদি না পাই তোমারে আমার জীবনের তরে
সোনার জীবন আঙ্গার হইব।
তোমার লাইগা রে।।


ভুলতে পার বন্ধু তুমি আমি ভুলি নাই
পর কালে যেন বন্ধু
মরন কালে যেন বন্ধু একবার তোমায় পাই।
যদি না পাই সে কালে প্রেম যাইব বিফলে
তখন কিন্তু বলব আমি , তখন কিন্তু বলব আমি
প্রেম কিছুই না রে ।।

চাতুরী করিয়া মোরে

D#

আমার সাদা দিলে কাঁদা লাগাই গেলি
চাতুরী করিয়া মোরে বান্ধিয়া পিরিতের দোরে
বিচ্ছেদের সাগরে ভাসাই গেলি রে বন্ধুয়া

পিরিতি আগে বুঝি নাই
তুই পিরিতি শিখাইলি তাই…?
তুই নিষ্ঠ ‍ুরে কেমনে কইরা ভুলি
কত না সোহাগ করিয়া হাউসের পিরিত শিখাইয়া
কোন পরানে গেলি আমায় ফেলি রে বন্ধুয়া...।।

কত দিনের কত কথা
হৃদয়ে মোর আছে গাঁথা
তুই কি নিঠুর ভুইলাছিস সকলই
আমি কানতে কানতে ঘুমাই যখন
স্বপ্নে তোরে দেখি তখন
পাইনা তোরে আবার চোখ মেলি রে বন্ধুয়া..।।

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

D#

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী
লাউয়ের আগা খাইলাম,
ডোগা গো খাইলাম
লাউ দিয়া বানাইলাম ডুগডুগী ।।

লাউয়ের এত মধু
জানে গো যাদু, (এত মধু গো)
লাউ ধরলাম সঙ্গের সংগী ।।

আমি গয়া গেলাম
কাশী গো গেলাম, (গয়া গেলাম গো)
সঙ্গে নাই মোর বৈষ্ণবী ।।