Monday, October 31, 2016

করিমনা কাম ছাড়ে না

G#

করিমনা কাম ছাড়ে না মদনে
প্রেম রসিক হব কেমনে (আমি)।।

এই দেহেতে মদন রাজা করে কাচারি
কর আদায় করে নিয়ে যায় হুজুরি
মদন যে দুষ্টু ভারি তারে দেয় তহশিলদারি
করে সে মুন্সিগিরি গোপনে।।

চোর দিয়ে চোর ধরাধরি একি কারখানা
আমি তা জিজ্ঞাসিলে তুমি বল না
সাধু সব চুরি করে চোর দেখে পালায় ডরে
নিয়ে যায় শূন্য ভরে কোনখানে।।

লালন সাঁই যে বিনয় করে সিরাজ সাঁইর পায়
স্বামী মারিলে লাথি নালিশ করিবো কোথায়
তুমি মোর প্রাণ পতি কি দিয়ে রাখবো রতি
কেমনে হব সতী চরণে।।

আমায় এত দু:খ দিলি বন্ধুরে.....

D#
আমায় এত দুঃখ দিলি বন্ধুরে.....
বন্ধু আমি তোর প্রেমেরী দিওয়ানা রে দিওয়ানা
মন জানে আর কেউ জানে।।

প্রান বন্ধুরে.......
তোমাকে পাইব বলে ইহ জনম যায় বিফলে
প্রেম ফাঁসি লইয়া গলে হইল কি যন্ত্রনা
কলিজা হইয়াছে ছিদ্ররে
বন্ধু ধরল ঘুনে ছাড়লো নারে ছাড়লো না।।

প্রান বন্ধুরে.....
কাষ্ঠে লোহায় পিরিত করে নৌকাটি সাজাইয়া পড়ে
দুয়ে মিলে যুক্তি করে শুকনা তে থাকবেনা
তারা জলের বুকে জীবন কাটায় রে (বন্ধু)
জল ছাড়া তো বাঁচেনারে বাঁচেনারে বাঁচেনা।।

বন্ধুরে....
কাঁদাইলি নিরবধি ভাসাইলি অকুল নদী
জন্ম হইতে আইজ বুঝি তোমায় আমি পাইলাম না
যে যাহারে ভালোবাসে রে বন্ধু
ব্যবহারে যায় চেনারে যায় জানা।।


নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে ও ভ্রমরা

নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে ও ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে

(নয় দরজা করিয়া বন্ধ লইয়ো ফুলেরও গন্ধ
অন্তরে জপিও বন্ধুর নামরে ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে )

জ্বালাইয়া দিলেরও বাতি
ফুল ফুটিবে নানা জাতি গো
কতো রঙ্গে ধরবে ফুলের কলি রে ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে

(ডালপালা তার বৃক্ষ নাই
এমনও ফুল ফুটাইছে সাঁই
ভাবুক ছাড়া বুঝবে না পণ্ডিতে
ও ভ্রমরা নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে)

অধীন শেখ ভানু বলে
ঢেউ খেলাইয়ো আপন দিলেতে
পদ্ম যেমন ভাসে গঙ্গার জলে রে ভ্রমরা
নিশীতে যাইয়ো ফুলবনে।

আমার ডাল যেন ভাঙে না,
আমার ফুল যেন ছিড়ে না,
ফুলের ঘুম যেন ভাঙে না।
যেও তুমি নীরব চরণে
- রে ভোমরা।
নিশিতে যাইও ফুলবনে।

নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে ও ভ্রমরা
নিশীথে যাইয়ো ফুলবনে।


শেখ ভানু

হাওয়ার উপর চলে গাড়ি

D#
হাওয়ার উপর চলে গাড়ি, 
লাগেনা পেট্রোল ডিজেল। 
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো,
চমৎকার গাড়ির মডেল,
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।

দুই চাক্কায় করেছে খাড়া, 
জায়গায় জায়গায় স্ক্রপ মারা,
বাহাত্তর হাজার ইস্পাত দিয়া, এই সাইকেল গড়া।
চিন্তা করে দেখনা একবার,
দুইশ ছয়টা হয় এক্সেল।

নতুন সাইকেল পুরান হইবে,
কলকব্জায় জং যে ধরিবে,
বেল বাটির ঐ ঠনঠন আওয়াজ বন্ধ যে হইবে।
এককদম আগে না বাড়বে, 
হাজার বার মারলেও প্যাডেল।

ফুরাইলে সাইকেলের বাতাস, 
ওসেদিন হবে সর্বনাশ,
গিয়ার তোমার কাজ করবেনা, রাখিও বিশ্বাস। 
মনির সরকার হইয়া লাশ,
থাকবে ভব মেডিকেল।


-----------------------
মুনির সরকার

গান গাই আমার মনরে বুঝাই

C

গান গাই আমার মনরে বুঝাই
মন থাকে পাগলপারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গানে বন্ধুরে ডাকি গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাব বলে আশা রাখি না পাইলে যাব মারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গান আমার জপমালা গানে খুলে প্রেমের তালা
প্রাণ বন্ধু চিকন কালা অন্তরে দেয় ইশারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

ভাবে করিম দ্বীনহীন আসবে কি আর শুভদিন
জল ছাড়া কি বাঁচিবে মীন ডুবলে কি ভাসে মরা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।
—————-
শাহ আব্দুল করিম

বন্ধুরে কই পাবো সখি গো

F
বন্ধুরে কই পাবো সখি গো
সখি আমারে বলো না
আমার বন্ধু বিনে পাগল মনরে 
বুঝাইলে বুঝেনা।।

সাধে সাধে ঠেকছি ফাঁদে গো
সখি দিলাম ষোল আনা
আমার প্রাণ-পাখি উড়ে যেতে চায় 
আর ধৈর্য মানে না।।

কী আগুন জ্বালাইলো বন্ধে গো
সখি নিভাইলে নিভে না
জল ঢালিলে দ্বিগুণ জ্বলে 
উপায় কি বলো না।।

বাউল আব্দুল করিম বলে গো
সখি অন্তরের বেদনা
সোনার বরণ রূপের কিরণ
না দেখলে বাঁচিনা।।


————-
শাহ আব্দুল করিম

আমার অন্তরায় আমার কলিজায়

D#m

আমার অন্তরায় আমার কলিজায়
প্রেমশেল বিঁধিল, বুক ছেদে পিঠ পার হইল গো।।

মারিয়া ভুজঙ্গ তীর, কলিজা করিল চৌচির
কেমনে শিকারি তীর মারিল গো
বিষ মাখাইয়া তীরের মুখে, মারিল তীর আমার বুকে
দেহ থইয়া প্রাণটি লইয়া গেল গো।।

নতুন ও যৌবনের বেলা, আমারে পাইয়া অবলা
প্রেম শিখাইয়া কেন ছেড়ে গেল গো
জ্বালাইল প্রেমও আগুন জল দিলে তা বাড়ে দ্বিগুণ
সখি তোরা আমার উপায় বলো গো।।

ইট কমলায় ইট বানাইয়া, এক জায়গায় ভাটা সাজাইয়া
ভিতরে আগুন জ্বালাইয়া দিল গো
গোপনে জ্বলিয়া সারা, মাটি হইয়া যায় আঙ্গারা
এ দুর্বিন শার তেমনি দশা হলো গো।।



কথা: দুর্বিন শাহ

পোষা পাখী উড়ে যাবে

G#

পোষা পাখী উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে
সে আমারে ভুলবে কেমনে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে।।

খেলতো পাখী সোনালী খাঁচায় ,
কতো কি বলিতো আমায়
বসে রূপালী আড়ায়
স্ফটিকের বাতি ভরে খাবার দিতাম থরে থরে
নিঠুর পাখী আমার খেলতো আনমনে।।

জংলি পাখী করলো সর্বনাশ
শুধু করি হাই হুতাস
কোথায় করবো তারে তালাশ
বনের পাখী বনে গেল
দিয়ে আমার বুকে বিষম শেল
নিঠুর পাখী আমার গেল কোন বনে
আমি পাখীর মায়া ভুলবো কেমনে।।

পাখীর মায়ায় পড়ে কতো লোক
তারা পেল আমার মত শোক
তাদের জল ভরা দুই চোখ
অসীম গহীন বনের পাখী
(তারে) আপন বলে কেন ডাকি
পাগল বিজয় কান্দে পাখীর সন্ধানে
পাগল বিজয় কান্দে বসে বিজনে

-------------------------
কথা: বিজয় সরকার

তুমি জানো নারে প্রিয়

D#

তুমি জানো নারে প্রিয়
তুমি মোর জীবনের সাধনা
তোমায় প্রথম যেদিন দেখেছি
মনে আপন মেনেছি
তুমি বন্ধু আমার বেদন বুঝো না।।


সেদিন ফাল্গুন দোল পূর্ণিমায়
মৃদু মৃদু বায়ু বয়
ফুলবনে পুলকের আল্পনা
মাধুর মাধুবী রাতে বঁধুয়া তোমারি সাথে
করেছিনু যামিনী যাপনা।।


(তুমি) আমায় ফেলে চলে গেলে
কি আগুন মোর বুকে জ্বেলে
একদিনও দেখতে তুমি এলে না
পাইলে দুঃখিনীর কুটিরে
দেখাইতাম অন্তর চিঁড়ে
বুকের ব্যাথা মুখে বলা চলে না।।


কাষ্ঠ-যোগে দাবানল
পুড়াইয়া বন জঙ্গল
মনের আগুন দিগুন জ্বলে নেভেনা
কত বিরহীনির অন্তর তলে
বিনা কাষ্ঠে আগুন জ্বলে
জল দিলে  জ্বলে দ্বিগুণ
নিভে না– না নিভে না।।


খুঁজিলাম জনম জনম
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ব্যোম
কোনখানে পাইনে তোমার ঠিকানা
পাগল বিজয় বলে চিত্ত চোর
আসবেকি জীবনে মোর
মনে রইলো ব্যথা ভরা বাসনা


————————
কথাঃ বিজয় সরকার

আমি জানিতে চাই দয়াল তোমার আসল নামটি কি

D#

আমি জানিতে চাই দয়াল তোমার
আসল নামটি কি
আমরা বহুনামে ধরাধামে
কত রকমে ডাকি।।

কেউ তোমায় বলে ভগবান
আর গড কেউ করে আহ্বান
কেউ খোদা কেউ জিহুদা
কেউ কয় পাপীয়ান
গাইলাম জনম ভরে মুখস্থ গান
মুখ বুলা টিয়াপাখী।।


সর্বশাস্ত্রে শুনিতে যে পাই
দয়াল তোমার নাকি মাতাপিতা নাই
তবে তোমার নামকরন কে করলে সাঁই
বসে ভাবি তাই
তুমি নামি কি অনামি সে সাঁই
আমরা তার বুঝি বা কি।।

কেহ পিতা কেহ পুত্র কয়
আবার বন্ধু বলে কেউ দেয় পরিচয়
তুমি সকলেরই সকল আবার
কারো কেহ নয়
তোমার দেওয়া আসল পরিচয়
কে জানে তা কি না কি।।


বিজয় বলে মনের কথা কই
আমি খাঁটি ভাবের পাগল নই
আমার গোল বেঁধেছে মনের মাঝে
তাতেই পাগল হই
আমার বুকে যা আই মুখে তা কই
কাঁটা কান চুলে ঢাকি


——————–
গীতিকারঃ বিজয় সরকার

ভাল আছি, ভালো থেকো

G#

ভাল আছি, ভালো থেকো,
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালাখানি,
বাউলের এই মনটা রে
আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক,
খোলসের আবরনে মুক্তর সুখ
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া
ভিতরের নীল বন্দরে

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম,
পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম
তেমনি তোমার নিবিড় চলা
মরমের মূল পথ ধরে


-----------------

গীতিকারঃ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

অপরাধী হইলেও আমি তোর

A#

আমি তোর পীরিতের মরা
আমি তোর পীরিতের মরা বন্ধু
চাইয়া দেখনা এক নজর বন্ধুরে
অপরাধী হইলেও আমি তোর
তোররে বন্ধু
অপরাধী হলেও আমি তোর।।


আমায় যদি দাও তাড়াইয়া
এমন জায়গা নাইরে গিয়া
এ অভাগার জুড়াইতাম অন্তর
তুমি যদি ঘৃণা রাখো
আমি তোরে করিনা পর।।

কত দুঃখ আমার বুকে
দেখতে আসে পাড়ার লোকে
তোর কি নাই কলঙ্কেরই ডর
আমি যদি যাই মরিয়া
কে করবে তোরে আদর।।


——————-
কথা: উকিল মুন্সি

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো

Fm

কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া
অন্তরে তুষেরই অনল জ্বলে গইয়া গইয়া।

ঘর বাঁধলাম প্রাণবন্ধের সনে
কত কথা ছিল মনে গো
ভাঙ্গিল আদরের জোড়া
কোনজন বাদী হইয়া
জ্বলে গইয়া গইয়া।।

কার ফলন্ত গাছ উখারিলাম
কারে পুত্র শোকে গালি দিলাম গো,
না জানি কোন অভিশাপে
এমন গেল হইয়া।
জ্বলে গইয়া গইয়া।।

কথা ছিল সঙ্গে নিব
সঙ্গে আমায় নাহি নিল গো
রাধারমন ভবে রইল
জিতে মরা হইয়া।
জ্বলে গইয়া গইয়া।।



সুরকারঃ বিদিত লাল দাস
গীতিকারঃ রাধারমণ

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।

C

মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।।

এই মানুষে মানুষ গাথা
গাছে যেমন আলকলতা।
জেনে শুনে মুড়াও মাথা
জাতে ত্বরবি।।

দ্বিদলে মৃণালে
সোনার মানুষ উজলে।
মানুষ গুরুর কৃপা হলে
জানতে পাবি।।

মানুষ ছাড়া মন আমার
পড়বি রে তুই শূন্যকার।
লালন বলে মানুষ আকার
ভজলে তারে পাবি।।

তুমি বিনে আকুল পরাণ

তুমি বিনে আকুল পরাণ
থাকতে চায় না ঘরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমি এই মিনতি করি রে
এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে ।।

সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান
তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার
দেহ-মন-প্রাণ
সর্বস্ব ধন করিলাম দান
তোমার চরণের তরে।।

আমারে ছাড়িয়া যদি যাও
প্রতিজ্ঞা করিয়া বলো
আমার মাথা খাও
তুমি যদি আমায় কান্দাও
তুমি যদি আমায় কান্দাও
তোমার কান্দন পরে রে।।

কুল-মান গেলে ক্ষতি নাই আমার
তুমি বিনে প্রাণ বাঁচেনা
কি করিব আর?
তোমার প্রেম-সাগরে
প্রেম-সাগরে তোমার করিম যেন ডুবে মরে।।

মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি

একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া
জনম ভরি চলিতেছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি
কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে।।

থাকের একটা কেস বানাইয়া মেশিন দিলো তার ভিতর
ওরে রং বেরংয়ের বার্নিশ করা দেখতে ঘড়ি কি সুন্দর।
ঘড়ির তিন পাটে তে গড়ন সারা, এই বয়লারের মেশিনের গড়া।
তিনশ ষাটটি ইশকুররম মারা ষোলজন পাহারা আছে।।

ঘড়ি হেয়ার স্প্রিং ফ্যাপসা কেচিং লিভার হইলো কলিজায়
আর ছয়টি বলে আজব কলে দিবানিশি প্রেম খেলায়।
ঘড়ি তিন কাটা বার জুয়েলে মিনিট কাটা হইলো দিলে
ঘন্টার কাটা হয় আক্কেলে মনটারে সেকেন্ডে দিসে।।

ঘড়ির কেসটা বত্রিশ চাকের, কলে কব্জা বেসুমার
দুইশো ছয়টা হাড়ের জোড়া, বাহাত্তর হাজারও তার।
ও মন, দেহঘড়ি চৌদ্দতলা, তার ভিতরে দশটি নালা,
একটা বন্ধ নয়টা খোলা গোপনে এক তালা আছে।।


ঘড়ি দেখতে যদি হয় বাসনা চলে যান ঘড়ির কাছে,
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে ঘড়ির ভিতর লুকাইছে,
ঘড়ির ভিতর লুকাইছে।
পর্দারও সত্তর হাজারে তার ভিতলে লড়ে চড়ে
জ্ঞান নয়ন ফুটলে পরে দেখতে পারবেন চোখের কাছে।।

ওস্তাদ আলাউদ্দিনে ভেবে বলছেন, ওরে আমার মনবোকা,
বাউল রহমান মিয়ার কর্মদোষে হইল না ঘড়ির দেখা।
আমি যদি ঘড়ি চিনতে পারতাম, ঘড়ির জুয়েল বদলাইতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইবো  কেমন যাই মিস্ত্ররীর কাছে?।।

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

Em
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম।।

হিন্দু বাড়িতে যাত্রা গান হইত
নিমন্ত্রণ দিত আমরা যাইতাম
জারি গান, বাউল গান  আনন্দের তুফান
গাইয়া সারি গান নৌকা দৌড়াইতাম।।

বর্ষা যখন হইত, গাজির গান আইত,
রংগে ঢংগে গাইত আনন্দ পাইতাম।
কে হবে মেম্বার, কে বা গ্রাম সরকার
আমরা কি তার খবরও লইতাম ।।

বিবাদ ঘটিলে  পঞ্চায়েতের বলে
গরীব কাংগালে বিচার পাইতাম ।।
মানুষ ছিল সরল ছিল ধর্ম বল ।।
এখন সবাই পাগল বড়লোক হইতাম ।।

করিযে ভাবনা সেই দিন আর পাব না
ছিল বাসনা সুখি হইতাম ।।
দিন হতে দিন,  আসে যে কঠিন
করিম দীনহীন কোন পথে যাইতাম।।

বসন্ত বাতাসে সইগো

বসন্ত বাতাসে সইগো
বসন্ত বাতাসে
বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ
আমার বাড়ি আসে।।

বন্ধুর বাড়ির ফুলবাগানে
নানান রঙের ফুল
ফুলের গন্ধে মন আনন্দে
ভ্রমর হয় আকুল।।

বন্ধুর বাড়ির ফুলের টুঙ্গি
বাড়ির পূর্বধারে
সেথায় বসে বাজায় বাঁশী
মন নিল তার সুরে।।

মন নিল তার বাঁশীর তানে
রূপে নিল আঁখী
তাইতো পাগল আব্দুল করিম
আশায় চেয়ে থাকি।।

কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু

F
কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু
ছেড়ে যাইবা যদি
কেমনে রাখবি তোর মন
কেমনে রাখবি তোর মন
আমার আপন ঘরে বাধিরে বন্ধু।।

পাড়া পড়শী বাদী আমার বাদী কাল ননদী
মরম জ্বালা সইতে নারি
দিবা নিশি কাঁদিরে বন্ধু।।

কারে কী বলিব আমি নিজেই অপরাধী
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
কেঁদে কেঁদে চোখের জলে
বহাইলাম নদী রে বন্ধু।।

পাগল আব্দুল করিম বলে হলো এ কী ব্যাধি
তুমি বিনে এ ভুবনে
তুমি বিনে এ ভুবনে
কে আছে আছে ঔষধি রে বন্ধু।।

চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু, মনে যদি লয়

D
চিঠির উত্তর দিসরে বন্ধু, মনে যদি লয়
কাগজ গেলো দিস্তায় দিস্তায়, কলম গোটা ছয়।।
মাস গেলো তেইশ চব্বিশ, বছর গেলো দুই
দুই বছরেও চিঠির উত্তর দিলি না রে তুই (হায় হায়)
কি যে করি এতো দেরী, পরানে না সয়।।
কালি ছিল দোয়াত ভরা, বাতি ভরা তেল
এক পয়সার লাভ হইল না, সব গেলো বিফল (হায় হায়)
এখন দরে দামে পোষান যায় না, দ্বিগুণ খরচ হয়।।
লেখতে বসলে শেষ হইত না, নিশি হইত ভোর
তবু যেন ফুরাইত না, মনের কথা মোর (হায় হায়)
বেড়ার ফাঁকে দেখতাম কত পূবের সূর্যোদয়।।


শিল্পী : মুজিব পরদেশী

আমার মনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ

A#
আমার মনের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ তোমারে না পাইয়া
পিরিতি শিখাইয়া কান্দাইয়া গেলা ফিরা তো আর আইলানা
বন্ধু ফিরা তো আর আইলানা।।

পাশানে বান্ধিয়া হিয়া —-
সব নিল কাড়িয়া ।
তুমি কোন পরানে আছ বন্ধু
কোন পরানে এ আছ বন্ধু
কইয়া গেলা না...।।


মনের ঘরে দাগা দিয়া
বন্ধু গেলা চলিয়া ।
আমার আশার তরী আশায় রইল
আশার তরী আশায় রইল
তুমি বাইলানা..।।

আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলা রে

F

আমার সোনা বন্ধুরে তুমি কোথায় রইলা রে।
দিনে রাইতে তোমায় আমি খুইজা মরি রে।।

প্রথম দেখার কালে বন্ধু কথা দিয়েছিলে
ভুলিবে না মোরে এ জীবন গেলে।
যদি না পাই তোমারে আমার জীবনের তরে
সোনার জীবন আঙ্গার হইব।
তোমার লাইগা রে।।


ভুলতে পার বন্ধু তুমি আমি ভুলি নাই
পর কালে যেন বন্ধু
মরন কালে যেন বন্ধু একবার তোমায় পাই।
যদি না পাই সে কালে প্রেম যাইব বিফলে
তখন কিন্তু বলব আমি , তখন কিন্তু বলব আমি
প্রেম কিছুই না রে ।।

চাতুরী করিয়া মোরে

D#

আমার সাদা দিলে কাঁদা লাগাই গেলি
চাতুরী করিয়া মোরে বান্ধিয়া পিরিতের দোরে
বিচ্ছেদের সাগরে ভাসাই গেলি রে বন্ধুয়া

পিরিতি আগে বুঝি নাই
তুই পিরিতি শিখাইলি তাই…?
তুই নিষ্ঠ ‍ুরে কেমনে কইরা ভুলি
কত না সোহাগ করিয়া হাউসের পিরিত শিখাইয়া
কোন পরানে গেলি আমায় ফেলি রে বন্ধুয়া...।।

কত দিনের কত কথা
হৃদয়ে মোর আছে গাঁথা
তুই কি নিঠুর ভুইলাছিস সকলই
আমি কানতে কানতে ঘুমাই যখন
স্বপ্নে তোরে দেখি তখন
পাইনা তোরে আবার চোখ মেলি রে বন্ধুয়া..।।

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী

D#

সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী
লাউয়ের আগা খাইলাম,
ডোগা গো খাইলাম
লাউ দিয়া বানাইলাম ডুগডুগী ।।

লাউয়ের এত মধু
জানে গো যাদু, (এত মধু গো)
লাউ ধরলাম সঙ্গের সংগী ।।

আমি গয়া গেলাম
কাশী গো গেলাম, (গয়া গেলাম গো)
সঙ্গে নাই মোর বৈষ্ণবী ।।

রসিক আমার মন বান্ধিয়া D#m

D#m

রসিক আমার মন বান্ধিয়া পিন্জর বানাইছে।।
সোনার ময়না ঘরে থুইয়া বাইরে তালা লাগাইছে

দিনহীন মুর্শিদে কয়
মাটির বাসন ভাইঙ্গা গেলে আর কি জোড়া লয়
দয়াল চাইলে লইব জোড়া
মুর্শিদ চাইলে লইব জোড়া
এমন দয়াল কে আছে..।।

তিনটি তক্তার নাও
আগায় পাছায় তিনজন মাঝি
ওমন তারাতারি বাও
ছয়জনে ছয দাড়ি লইয়া 
আল্লাহু নাম লইতাছে।।

পাগল জালালে কয়
পিঞ্জর ছাইড়া গেলে ময়না
আর কি বন্দী হয়..
মুর্শিদ চাইলে হইব বন্দী
দয়াল চাইলে হইব বন্দী
এমন দয়াল কে আছে..।।

মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল

D#

হাওয়ার উপর চলে গাড়ি লাগেনা পেট্রল ডিজেল
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল,
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো চমৎকার গাড়ির মডেল
মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল।

দুই চাক্কায় করেছে খাঁড়া
জায়গায় জায়গায় ইস্কুরুপ মারা
বাত্তর হাজার ইস্পত দিয়ে এই সাইকেল গড়া।
চিন্তা করে দেখনা একবার দুইশ ছয়টা হয় এক্সেল...।।

নতুন সাইকেল পুরান হইবে কলকব্জায় জং যে ধরিবে
বেল বাত্তির ঐ ঠং ঠং আওয়াজ বন্ধ হইবে
এক কদম আগে না বাড়বে হাজার বার মারলে প্যাডেল...।।

ফুরাইলে সাইকেলের বাতাস সেই দিন হবে সর্বনাশ
গিয়ার তোমার কাজ করবে না রাখিও বিশ্বাস
মুনির সরকার হইয়া লাশ থাকবে ভব মেডিকেল...।।

গাড়ি চলে না

F

চড়িয়া মানব গাড়ি যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি
মধ্য পথে ঠেকলো গাড়িউপায়-বুদ্ধি মেলে না।।
গাড়ি চলে না চলে না,
চলে না রে, গাড়ি চলে না।

মহাজনে যতন করে তেল দিয়াছে টাংকি ভরে
গাড়ি চালায় মন ড্রাইভারে ভালো-মন্দ বোঝে না।।

ইঞ্জিনে ময়লা জমেছে পার্টসগুলো ক্ষয় হয়েছে
ডাইনামো বিকল হয়েছে হেডলাইট দুইটা জ্বলে না।।

ইঞ্জিনে ব্যতিক্রম করে কন্ডিশন ভালো নয় রে
কখন জানি ব্রেক ফেল করে ঘটায় কোন্‌ দুর্ঘটনা।।

আবুল করিম ভাবছে এইবার কনডেম গাড়ি কি করবে আর
সামনে বিষম অন্ধকার করতেছে তাই ভাবনা।।

বন্ধে মায়া লাগাইছে

D#

বন্ধে মায়া লাগাইছে
পিরিতি শিখাইছে, দিওয়ানা বানাইছে
কী জাদু করিয়া বন্ধে মায়া লাগাইছে

বসে ভাবি নিরালা
আগে তো জানেনা বন্ধে পিড়িতের জ্বালা
যেন ইটের ভাটায় দিয়া কয়লা - আগুন জ্বালাইছে।।

আমি কী বলিব আর?
বিচ্ছেদের অনলে পুড়ে কলিজা আঙ্গার
প্রাণ বন্ধের পিরিতে আমার - পাগল করেছে।।

বাউল আব্দুল করিম গায়
ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারে চায়
কুল-নাশা পিরিতের নেশায় - কুল-মান গেছে।।

তোমার লাগিয়া রে

F

তোমার লাগিয়া রে
সদাই প্রাণ আমার কান্দে বন্ধুরে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

নিদয় নিঠুর রে বন্ধু
তুই তো কূলনাশা।
(আমায়) ফাঁকি দিয়ে ফেলে গেলি রে বন্ধু।
না পুড়াইলি আশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
করবারে নৈরাশা।
(ও তুই) না জেনে পীড়িতের রীতি রে বন্ধু।
ঘটাইলি দুর্দশা বন্ধু রে
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

হৃদয় চিড়িয়া রে দিতাম হৃদয়তে বাসা।
(আমি) তোমায় দেখে স্বাধ মিটাইতাম রে বন্ধু।
খেলতাম প্রেমের পাশা রে বন্ধু
প্রাণ বন্ধু কালিয়া রে।।

আমি কেমন করে পত্র লিখিরে বন্ধু

F

আমি কেমন করে পত্র লিখিরে বন্ধু
গ্রাম পোস্ট অফিস নাই জানা
তোমায় আমি হলেম অচেনা।।


বন্ধুরে হইতা যদি দেশের দেশী
চরণে হইতাম দাসীরে
আমি দাসী হইয়া সঙ্গে যাইতাম রে বন্ধু
শুনতামনা কারো মানা।।

বন্ধুরে শুইলে না আসে রে নিদ্রা
ক্ষণে ক্ষণে আসে তন্দ্রা গো
আমি স্বপন দেখে জেগে উঠি রে বন্ধু
কেন্দে ভিজাই বিছানা।।

এবার না আসিলে বাড়িতে আগুন লাগাইয়া দিমু

D#

এবার না আসিলে বাড়িতে 
আগুন লাগাইয়াদিমু আমার শাড়িতে
আমি তোমার নামে নালিশ করছি 
যাইয়া পুলিশ ফাড়িতে।।

তোমার চাচাতো ভাই জয়নাল আবেদীন
বাজার থেকে আইনা দিছে সাদা কেরোশিন
আমি ম্যাচ বাতিটা সাথেই রাখি 
দেইনা কাউরে নাড়িতে।।

তোমার আসার আশে (অপেক্ষাতে) বছর গেল ছয়
এখন পাড়া পড়শী আমায় দেখে কতই কথা কয়
আমার পেটের ক্ষুধা পেটেই থাকে, 
ভাত নষ্ট হয় হাড়িতে।।

তোমার ছোট বোন হয় আমার ননদী
বন্ধ সেও একটু মনের ব্যথা বুঝিতো যদি
(ওরে) নইলে কি আর হইতো আমার, 
প্রানের মায় ছাড়িতে।।

শুয়া উড়িলো উড়িলো জীবের জিবন

G
শুয়া উড়িলো উড়িলো জীবের জিবন
আর লামকানে ছিলায় শুয়া আনন্দিত মন
ভবে আশি পিঞ্জিরাতে হইলায় বন্ধন।।

নিদয়া নিষ্ঠুর পাখি দয়া নাইরে তোর
পাষান সমান হিয়া কঠিন অন্তর।।

পিঞ্জিরায় থাকিয়া কইরলায় প্রেমের সাধন
(আয় আল্লাহ)
এখন ছাড়িয়া যাইতে না লাগে বেদন।।

তুমি নিজ দেশে যাইবে পাখি পুড়িলে মেয়াদ
তোমার পিঞ্জিরা রহিবো খালি হইয়া বরবাদ।।

লামকানে ‍যাওরে পাখি করিয়া গমন
পিঞ্জিরাযে কান্দে তোর প্রেমের কারন।।

(শুন) শিতালং ফকিরে বলে মনে আলাপন
আর যাইবার সময় যাওরে পাখি দিয়া দরশন।।

শিতালং ফকিরে কইন দম কর  সাধন
দমের ভিতর আছে পাখি করিও যতন।।

বন্ধু তোর লাইগারে

Fm
বন্ধু তোর লাইগারে বন্ধু তোর লাইগারে
আমার তনু জড়জড়
মনে লয় ছাড়িয়া যাইতাম থুইয়া বাড়িঘর।।

অরন্য জঙ্গলার মাঝে আমার একখান ঘর
ভাইয়ো নাই বান্ধব নাই মোর কে লইবো খবর।।

বটবৃক্ষের তলে আইলাম ছায়া পাইবার আশে
ডাল ভাঙ্গিয়া রোদ্র উঠে আমার কর্মদোষে।।

নদী পার হইতে গেলাম নদীর কিনারে
আমারে দেখিয়ারে নৌকা সরে দুরে দুরে।।

সৈয়দ শাহ নুরের কান্দন নদীর কুলে বইয়া
পার হইমু পার হইমু কইরা দিন তো যায় চলিয়া।।

মায়ের কান্দন জাবতজীবন

F

মায়ের কান্দন জাবতজীবন 
দুইচার মাস বোনের কান্দনরে
ওরে ঘরের পরিবারের কান্দন কয়েকদিন পর থাকেনা
গর্বধারিনী মা জনমদুখীনি মা
দুখের দরদী আমার জনমদুখী মা।।

দশমাস দশদিন মায়ে গর্ভে দিছে ঠাই
রক্ত মাংশ খাইয়া মায়ের ভবে আইলাম ভাই
ভূমিষ্ট হইয়া আমি উঠিলাম কান্দিয়া
শান্ত করিলো মায়ে বুকের মুগ্ধ দিয়া
মায়ের প্রশবের কালে বুক ভেসে যায় নয়ন জলেরে
ওমা সন্তারে লইয়া কোলে ভুলে প্রসব যন্ত্রনা।

হাতে পয়ে তেল মাইখা মা দিল শক্ত করি
পেশাব পায়খানা আমি মায়ের কোলে করি
তবু না মা রাগ হইয়ো ভিজলো গুয়ে মুতে
আমারে শুকনায় রাখিয়া মায় থাকলো ভিজাতে
অসুখ হইলে দেখি চাইয়া মায় রইছে বিছানায় বইয়ারে
বলে আমায় আল্লা যাওগো লইয়া সন্তানেরে নিয়োনা।।

বিদেশে বিপাকেগো যার সন্তান মারা যায়
দেশের লোকে না জানিতেই আগে জানে মায়
লজ্জবতী গাছের পাতা টোকা দিলেই মরে
সন্তান হারা মার কলিজা ছটফট ছটফট করে
শুন্য ডালে বসে যদি কাক কখোনো ডাকে
কুলাতে ধান লইয়া মায়ে সন্তানের সুখ দেখে
বলে খাইয়া যারে দারুন কাক উদর ভরিয়া
আমার সন্তান আছে ভালো খবর দে আনিয়া
আবার অন্ধ আতুর লেংড়া খোড়া হইলে কারো ছেলে
ধুলা ঝাইড়া মায়ে তবু টান দিয়া লয় কোলে
কারো পুত্র যদি কুপুত্র হয় মায়ে নাহি ফেলে
হাজার দোষ রাখিয়া গোপন মায়ে তবু পালে
শাহাআলম ভেবে বলে জান্নাত মায়ের চরন তলে
তোরা দেখরে ভারি হাদিস খুলে করছে নবী ঘোষনা।।