এলো দিল্লীতে, নিজাম উদ্দীন আউলিয়া

Fm

ধন্য ধন্য মেরা, ধন্য ধন্য মেরা, সিলসিলা৷

এলো দিল্লীতে, নিজাম উদ্দীন আউলিয়া ৷৷

শয়নে স্বপনে দেখি আসিলো এক বুজূর্গান,

রাস্তার মাঝে কতো লোকে করিতেছে সন্ধান,

রাস্তা থামায়ে দিলো কাফেলা

এলো দিল্লীতে, নিজাম উদ্দীন আউলিয়া ৷।

মানত করেছি আমি বড় পীরের দরবারে,

কেমন করে দেবো চাদর দেহ ওলীর মাজারে,

রাস্তা থামায়ে দিলো কাফেলা এলো

দিল্লীতে, নিজাম উদ্দীন আউলিয়া ৷৷ 

হাসানে কয় লালমিয়া ভাই 

কোন খবর পাইছো নি!

বালুর ঘাটে কে আসিলো, ইসরাঈল আর নিজামী,

ইসরাঈল আর নিজামী।

ধন্য ধন্য মেরা, ধন্য ধন্য মেরা, সিলসিলা৷

এলো দিল্লীতে, নিজাম উদ্দীন আউলিয়া ৷৷

মনে বাবলা পাতার কষ লেগেছে

মনে বাবলা পাতার কষ লেগেছে 

উঠবে কী আর সাবানে 

গুরু আমার মনের ময়লা যাবে কেমনে ? 

স্বভাব যায় না রে ধুলে 

খাইসলত যায় না রে মলে । 

ছুঁচোর গায়ের গন্ধ যায় কী 

গোলাপ জল দিলে (বাবা গো)

ও আমার মনপাখিটা বেজায় খেপা  (মন রে)

ধর্মকথা কই শোনে।?

অন্য কালি সে তো ধুলে যায় 

আর মনের কালি বিষম কালি 

গুরু গো সে তো ধুবার নয়। 

ও আমার কালো রং কী গৌড় হবে 

কাঁচা হলুদ গায় মাখিলে? 

মায়ের এক ধার দুধের দাম

মায়ের এক ধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম,

পাপোশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না

এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার মা গো।।

পিতা আনন্দে মাতিয়া,সাগরে ফেলিয়া,

সেই যে চইলা গেল ফিরা আইল না,

মায়ের ধরিয়া যঠরে, কত কষ্ট করে,

দশ মাস দশ দিন পরে গেল বেদনা।।

কি বলব প্রসবের ব্যাথা, মা বিনে সেই ব্যাথা

কেউ তো বুঝলনা মা গো,

মায়ের ঠেকিয়া সন্তানের দায়,

অকালে মা প্রান হারায়।

কেন সে মায়ের ভক্তি রাখনা? ।।

কলিজাতে দাগ লেগেছে হাজারে হাজার - A#

কলিজাতে দাগ লেগেছে হাজারে হাজার
ভালবাসার ময়না পাখি  এখন জানি কার।।

যার জন্য ঘর বানাইলাম সে রইল না ঘরে
সেই ঘর উড়াইয়া নিল কালবৈশাখি ঝড়ে

প্রানটা আমার ছটফট করে বুকে হাহাকার, (আমার)
ভালবাসার ময়নাপাখি  এখন জানি কার।।

শিকল কাটা পাখির মত উড়িয়া গেল
সেইদিন হইতে আমার জীবন শুধু এলোমেলো
জাতের কুলে দাগ লাগাইল
জাতের কুলে কালি দিল কান্না হইল সার (আমার)
ভালবাসার ময়না পাখি এখন জানি কার।।

যার জন্য সব হারাইলাম সেই রাখল না মনে
কার জন্য যে এত ব্যাথা  সইলাম এ জীবনে
কেঁদে কয় জীবণ দেওয়ানে সুখের জীবন তার  (আমার)
ভালবাসার ময়নাপাখি এখন জানি কার । ।

তুমি কোনবা দেশে রইলারে দয়াল চান

D#

তুমি কোনবা দেশে রইলারে দয়াল চান

তোমায় না দেখলে বাঁচে না আমার প্রাণ
তুমি কোনবা দেশে রইলারে দয়াল চান

দয়াল তোমারও লাগিয়া যোগিনী সাজিব

আমি সঁইপা দিব আমার মন ও প্রাণ।।

দয়াল তোমারও লাগিয়া দেশে না বৈদেশে।

আমি পাইতাছি পিরিতির ফান।।

যেমন শিমুলের তুলা বাতাসে ওড়ে রে।

তুমি সেই মতো উড়াইলা আমার প্রাণ।।।

অকারণে তুলসির মূলে জল ঢালিলাম

অকারণে তুলসির মূলে জল ঢালিলাম
তার দেখা না পাইলাম, শুধু ভালবাসিলাম।।

আগে যদি জানতাম আমি
প্রেম শিখাইয়া যাইবায় তুমি
আমি না বুঝিয়া নতুন য়ৌবন

তারে সপিলাম তার দেখা না পাইলাম।।

প্রেম করা নয় প্রাণে মরা
জাতি সাপের লেজে ধরা
আমি না বুঝিয়া লোক সমাজে

দোষী হইলাম তার দেখা না পাইলাম।।

কালা মিয়া হইল সারা
প্রাণ বন্দের পিরিতের মরা
আমি না জানিয়া বন্ধুর সনে
পিরিত বাড়াইলাম তার দেখা না পাই।।

আইজ আমার ঘটিল জঞ্জাল

D#

আমি তোরে ভালবাসি বলে লোকে কয় চন্ডাল

ও তুই কাটা ঘায়ে লবন দিয়া (নুন ছিটাইয়া) 

খুচাইয়া তুলতেছ ছাল

আজ আমার ঘটিল জঞ্জাল।

বেহায়া মনটা লইয়া তোমারে ভালবাসিয়া

আইজ আমার ঘটিল জঞ্জাল।।

ও তুই, যত ব্যাথা দিয়েছিস নিঠুর,

ব্যাথার পরিবর্তে সেথা, লেগেছে মধুর (রে বন্ধু  লেগেছে মধুর)

যেমন, প্রভূর দ্বার ছাড়ে না কুকুর,

যতই করুক বেত্রাঘাত।।

ও তুই প্রেম সাগরে ভাসাইয়া তরি

ভাবসাগরে প্রেমের নাওটা ডুবাইয়া দিলি

ও তুই কোন বা দোষে কোন কারনে

ছাইড়া দিলি আমার সাথ।।

শোন বলি গো, প্রান-নাথ,

তোর লাইগা বেহায়া মনটা,

করে রে উৎপাত।।

ও তুই, যতই জ্বালা দিস রে কালা,

ততই বড়ে প্রেমও স্বাদ,

তোর লাইগা বেহায়া মনটা, করে রে উৎপাত।

ভুল বুঝে চলে যাও; যত খুশি ব্যাথা দাও - E

E

(যদি) ভুল বুঝে চলে যাও যত খুশি ব্যথা দাও 

সব ব্যথা নীরবে সইবো
বন্ধুরে, তোমার লেখা গানটারে গাইবো।

মন গগনে ফুলবনে; তুমি বনমালী
আমি তো সেদিন ছিলাম ; প্রথম গানের কলি। (২)
দুটি বীনা একই সুর  ভালবাসা কি মধুর (২)
যত দুরে তোমায় ছেড়ে যাইবো, বন্ধুরে।।

যে গানের বিনিময়ে ভালোবাসাবাসি
যেই গানের ছন্দে দিতাম মুক্তো ঝরা হাসি।
সেই মিলন রজনী; আজও তারে ভুলিনি
বিরহ রাগিনী হয়ে বাঁচবো, বন্ধুরে।।

ভাই বন্ধু আত্মীয় স্বজন কেউ রবে না পাশে
মাতাল রাজ্জাকের শেষ পানের ডাক যদি নেমে আসে।

ধুলো কাদা মুছিয়া; বন্ধু তোর কাছে গিয়া
চির নিদ্রায় ঢলে আমি পরবো বন্ধুরে ।।

৩য় অন্তরা

কুল হারা ফুল আমি; নাই কোনো ঠিকানা নাই 
ভুল বুঝোনা মোরে, যত দুরে ভেসে যাই। (২) .
পাবোনা জীবনের স্বাদ ; নিয়ে শুধু অপবাদ 
জলে পুরে ছাই হয়ে মরবো। বন্ধুরে ।।

প্রখ্যাত মরমী সাধক আব্দুর রাজ্জাক দেওয়ানের লেখা ও সুর করা

দে দে পাল তুলে মাঝি হেলা করিস না

F#m

দে দে পাল তুলে মাঝি হেলা করিস না

ছেড়ে দে নৌকা আমি যাবো মদিনা।।

মদিনায় নবি এলো মা আমেনার ঘরে

হাসিলে হাজার মানিক কাদিলে মুক্তা ঝরে

দয়াল মুর্শিদ যার সখা তার কিসের ভাবনা।।

ঐ নুরের রৌশনিতে দুনিয়া গেছে ভরে

সে নুরের বাত্তি জলে মদিনার ঘরে ঘরে

দয়াল মুর্শিদ যার সখা তার কিসের ভাবনা

আমার হৃদয় মাঝে কাবা নয়নে মদিনা।।

আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই

আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই  বাংলাদেশের ঢোল
সব ভুলে যাই  তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল।।

বাংলা জনম দিলা আমারে
তোমার পরান আমার পরান;  এক নাড়িতে বাঁধা রে
মা-পুতের এ বাঁধন ছেড়ার  সাধ্য কারো নাই
সব ভুলে যাই  তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল।।

মা তোমার মাটির সুরে সুরেতে
আমার জীবন জুড়াইলা মাগো বাউল ভাটিয়ালিতে
পরান খুইলা মেঘনা তিতাস  পদ্মারই গান গাই

সব ভুলে যাই  তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল।।

এই ফাগুনি পূর্ণিমা রাতে চল পলায়ে যাই

Gm

যেন ঢাক আছে আর কাঠি নাই

তোরে ছাড়া আমার হাল টা যে তাই

ভাবুক যা খুশি সবাই।

আজ ফাগুনি পূর্ণিমা রাতে চল পলায়ে যাই

এই ফাগুনি পূর্ণিমা রাতে চল পলায়ে যাই

দূর দেশে যাব রে, বাসা বানাব রে

থাকব দূজনে একসাথে।।

বৈশাখী ঝড়েতে আমাদের ঘরেতে হয়েছিল সেই যে দেখা

তখন থেকেই যেন আনমনা মন আর, উঠান লাগে শুধু বেঁকা

আমার উঠান লাগে শুধু বেঁকা,  চল পলায়ে যাই।।

তোর আঁখি দুটি যেনো মাতলা নদী করেছে আমায় পাগল

তোর সঙ্গ না পেলে সারাদিন কেমন আনচান আনচান করে মন

আমার আনচান আনচান করে মন গো;  চল পলায়ে যাই।।

কানে দিব ফুল নাকে নাকছাবি গলায় দিব সীতা হার

হাতে দিব চুড়ি ভাবতে নাহি পারি আর কি দিব উপহার

আমি আর কি দিব উপহার গো; চল পলায়ে যাই ।।

একসাথে দুজনে বাগান বানাব করব গোলাপের চাষ

ছোট্ট দুটি ঘর রইবে সেখানে করব দুজনে বাস

জোড়া গোলাপের কলি দেব গুঁজে খোপাতে তোর রোজ ভোরে

বাকি যত ফুল বেচব গিয়ে হাওড়ার ঐ ফুলের বাজারে

তোকে জোড়া গোলাপ দিব ভোরে; চল পলায়ে যাই।।

আমার বন্ধু দয়াময় G

G

আমার বন্ধু দয়াময়
তোমারে দেখিবার মনে লয়।
তোমারে না দেখলে রাধার
জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।।

কদম ডালে বইসারে বন্ধু
ভাঙ্গ কদম্বের আগা।
শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া
যৌবনকালে দাগা রে।।

তমাল ডালে বইসারে বন্ধু
বাজাও রঙের বাশি।
সুর শুনিয়া রাধার মন
হইলো যে উদাসি রে।।

ভাইবে রাধা রমন বলে
মনেতে ভাবিয়া।
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিলাই জ্বালাইয়া রে।।

রাধারমন

দয়াল বাবা কেবলা কাবা

F

আমার দয়াল বাবা কেবলা কাবা, আয়নার কারিগর

আয়না বসাইয়া দে মোর কলবের ভিতর, বাবারে।।

বাবার নামটি করলে সাধন, ওরে মিলবেরে অমূল্য রতন (আমার)

আমার বাবায় যারে করে দয়া, নাই মরণের ডর।।

দয়াল বাবা আল-হাছানি, যার কাছে মারফতের ধ্বনি

কলব হইয়া যায় নুরানী, করিলে নজর (হায়রে)।।

ওরে বেলায়েতে অধিকারী, আমার দয়াল বাবা মাইস-ভান্ডারী

ওরে কোরআনেরই ঝলক মারে কলবের ভিতর।।

মধু হই হই আরে বিষ হাওয়াইলা

মধু হই হই আরে বিষ হাওয়াইলা

হন হারনে ভালবাসার দাম ন দিলা

হন দোষখান পায় ভালবাসার দাম ন দিলা

আশাই আঁচিল তোয়ারে লই বাইন্দুম একখান সুখেরি ঘড়

সুখের বদলে দুক্কু দিলা।।

প্রেম নদি....তে অইনুর টানত আরে কেন ফেলাই গেলা

এনগরি কেন ভুল বোঝিলা।।

সময় গেলে সাধন হবে না Fm

সময় গেলে সাধন হবে না

দিন থাকতে দ্বীনের সাধন কেন জানলে না

তুমি কেন জানলে না

সময় গেলে সাধন হবে না।।

জানো না মন খালে বিলে

থাকে না মিল জল শুকালে ।।

কি হবে আর বাঁধা দিলে মোহনা শুকনা (থাকে) ।।

অসময়ে কৃষি কইরে মিছা মিছি খেইটে মরে

গাছ যদি হয় বীজের জোরে

ফল ধরে না, তাতে ফল ধরে না।।

অমাবস্যায় পূর্নিমা হয়

মহা জোগ সে দিনের উদয়

লালোন বলে তাহার সময়

দনডোমো রয় না।।

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

D#m

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি

কেমনে আসে যায়

তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি

দিতাম পাখির পায়ে।।

আট কুঠুরী নয়

দরজা আটা মধ্যে মধ্যে

ঝরকা কাঁটা

তার উপরে সদর কোঠা

আয়না মহল তায়ে।।

কপালের ফের নইলে কি আর

পাখিটির এমন ব্যবহার

খাঁচা ভেঙ্গে পাখি

আমার কোন খানে পালায়।।

মন তুই রইলি খাঁচার আসে

খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের

কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে

ফকির লালন কেঁদে কয়।

মিলন হবে কত দিনে

D#m

মিলন হবে কত দিনে

আমার মনের মানুষের সনে।।

চাতক প্রায় অহর্নিশি

চেয়ে আছি কালো শশী

হব বলে চরণ-দাসী,

ও তা হয় না কপাল-গুণে।।

মেঘের বিদ্যুৎ মেঘেই যেমন

লুকালে না পাই অন্বেষণ,

কালারে হারায়ে তেমন

ঐ রূপ হেরি এ দর্পণে।।

যখন ও-রূপ স্মরণ হয়,

থাকে না লোক-লজ্জার ভয়-

লালন ফকির ভেবে বলে সদাই

(ঐ) প্রেম যে করে সে জানে।।

জাত গেল জাত গেল বলে

জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সবি দেখি তা না-না-না।।

আসবার কালে কি জাত ছিলে
এসে তুমি কি জাত নিলে,
কি জাত হবা যাবার কালে
সে কথা ভেবে বল না।।

ব্রাহ্মণ চন্ডাল চামার মুচি
এক জলেই সব হয় গো শুচি,
দেখে শুনে হয় না রুচি
যমে তো কাকেও ছাড়বে না।।

গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়,
তাতে ধর্মের কি ক্ষতি হয়।
লালন বলে জাত কারে কয়
এ ভ্রম তো গেল না।।

চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি

চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি
ভেদ-পরিচয় দেয় না আমায়
ঐ খেদে ঝরে আঁখি
আমার ঐ খেদে ঝরে আঁখি।।

পাখির বুলি বলে শুনতে পাই
রূপ কেমন তা দেখিনা ভাই
(আমি) বিষম ঘোর দেখি।
কোন দিন জানি উড়ে যাবে
ধুলো দিয়ে দুই চোখি।।

পোষা পাখি চিনলাম না
এ লজ্জা তো যাবে না উপায় কি করি
আমি উপায় কি করি।।
চিনাল পেলে চিনে নিতাম
যেতো মনের ধুকধুকি।।

(আছে) নয় দরজা খাঁচাতে
যায় আসে পাখি কোন পথে
(আমার) দিয়ে রে ভেল্কি।
সিরাজ সাঁই কয়
বয় লালন বয়
ফাঁদ পেতে রে সিঁদমুখী।।

সহজ মানুষ ভজে দেখনারে

সহজ মানুষ ভজে দেখনারে মন দিব্যজ্ঞানে
পাবিরে অমূল্য নিধি বর্তমানে।।

ভজ মানুষের চরণ দুটি
নিত্য বস্তু হবে খাঁটি
মরিলে সব হবে মাটি
ত্বরায় এই ভেদ লও জেনে।।

শুনি ম’লে পাবো বেহেস্তখানা
তা শুনে তো মন মানে না
বাকির লোভে নগদ পাওনা
কে ছাড়ে এই ভুবনে।।

আচ্ছালাতুল মেরাজুল মোমেনীনা
জানতে হয় নামাজের বেনা
বিশ্বাসীদের দেখাশুনা
লালন কয় এই ভুবনে।।

বাড়ির কাছে আরশী নগর

বাড়ির কাছে আরশী নগর
(একঘর) সেথা পড়শী বসত করে-
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।।

গেরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পারে,
বাঞ্ছা করি দেখব তারে
(আমি) কেমনে সেথা যাই রে।।

কি বলব পড়শীর কথা,
হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই-রে
ক্ষণেক থাকে শূণ্যের উপর
(ওসে) ক্ষণেক ভাসে নীরে।।

পড়শী যদি আমায় ছুঁতো,
যম যাতনা সকল যেতো দূরে।
সে আর লালন একখানে রয়-
(তবু) লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।

ধন্য ধন্য বলি তারে

D#m

ধন্য ধন্য বলি তারে

বেঁধেছে এমন ঘর

শূন্যের উপর ফটকা করে।।

সবে মাত্র একটি খুঁটি

খুঁটির গোড়ায় নাইকো মাটি,

কিসে ঘর রবে খাঁটি

ঝড়ি-তুফান এলে পরে।।.

মূলাধার কুঠরি নয় টা

তার উপরে চিলে-কোঠা

তাহে এক পাগলা বেটা

বসে একা একেশ্বরে।।

উপর নীচে সারি সারি

সাড়ে নয় দরজা তারি

লালন কয় যেতে পারি

কোন্‌ দরজা খুলে ঘরে।।

জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে

আছেন কোথায় স্বর্গপুরে 

কেউ নাহি সন্ধান জানে
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার 

কথা দেখায় আসমানে।।

পৃথিবী গোলাকার শুনি-

অহর্নিশি ঘোরে আপনি
তাইতে হয়,তাইতে হয় দিন-রজনী,
জ্ঞানী-গুনী তাই মানে।।

আরেকদিকে নিশি হলে 

অন্যদিকে দিবা বলে
আকাশতো দেখে সকলে,

খোদা দেখে কয়জনে।।

আপন ঘরে কে কথা কয় 

না জেনে আসমানে তাকায়
লালন বলে কেবা কোথায় 

বুঝিবে দিব্যজ্ঞানে।।

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিব - ছেড়ে দিব না

C

কতো লক্ষ জনম ঘুরে ফিরে (ও মনরে)

সাধের মানব জনম পেয়েছিরে

একবার ভজলে হরি বংশীধারী নিদয় হয়ো না।।

ছেড়ে দেবনা আমি ছেড়ে দেব না

ছেড়ে দিলে সোনার গৌর, আর পাব না

ছেড়ে দিলে সোনার গৌর, আর তো পাব না

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখব - ছেড়ে দিব না।।

(সেনরিতা মার্গারিটা বোলো বম ভোলে

ডান্স উইথ মি

টেক মাই হ্যান্ডস ন, আন্ডারস্টান্ড নাও

 ইটর এ্যামোরে বাই দ্যা সি।)

ভুবণ মোহন গড়া,

কোন মণিজনার মনোহরা

আমি নয়নে নয়ন দিয়ে আর ফিরাবো না।।

যাবো ব্রজের কূলে কূলে

আমি মাখবো ব্রজের পদধুলি

(জয়) রাধার নামে পাগল হয়ে থাকবো মগনা।।

যে ডাকে চাঁদ গৌর বলে

ওগো ভয় কি গো তার ব্রজের কূলে?

ওরে দ্বিজ ভূষণ চাঁদে বলে, চরণ ছাড়বো না।।

The Bongs Again Version.

অন্তর জ্বলে রে জ্বলে

অন্তর জ্বলে রে জ্বলে
বুকের ভিতর অন্তর আমার জ্বলে
যখন আমার তুমি কেউ লাগো না
পাড়া পরশী বলে রে।।

তখন আরো বেশি বেশি জ্বলে...

একে তো হায় অন্তরে তে পিরিতেরই ঘাও
সেই ঘায়েতে তোমরা কেন লবন ছিটাও
তোমরা তার কথা বলে চোখেতে দাও মরিচ ডলে
চোখের পানি গরগরাইয়া পরে চোখের তলে।।


একেতে হায় কব্বরে তে দিয়াছি এক পাও
পারলে তোমরা এখনই বাঁশ চাটাই কিনতে যাও
বুঝি সবার মতি গতি পিছনে চাও আমার ক্ষতি
রূপে গুণে অপূর্ব তাই সবাই তাহার দলে।।

তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে

তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে ।।

একটা পাগলামি করে
জাত দেয় সে অজাতেরে দৌড়ে গিয়ে...
আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে
ধূলার মাঝে ।।

একটা নারকেলের মালা
তাতে জল তোলা ফেলা করঙ্গ সে
পাগলের সঙ্গে যাবি পাগল হবি
বুঝবি শেষে ।।

পাগলের নামটি এমন
বলিতে অধীন লালন হয় তরাসে
চৈতে নিতে অদ্বৈ পাগল
নাম ধরে সে ।।

সোনা বন্ধু তুই আমারে

G

সোনা বন্ধু তুই আমারে করলি রে দিওয়ানা
মনে তো মানে না দিলে তো বুঝে না।।

সোনা বন্ধুর এমনই গুন জল দিলে নিভেনা আগুন
কি দিয়ে নিভাবো আগুন আমায় একটু বল না।।

সোনা বন্ধুর মুখের হাসি যেন পূর্ণিমা শশী
হাসিতে হইলাম পাগল ঘরে থাকতে দিলানা।।

সোনাবন্ধুর প্রেমের তরী চালাই তারে কেমন করি
পাল তুলিয়া বইসা রইলাম মাঝির দেখা পাইলাম না।।

আব্দুল গফুর হালী