Saturday, March 31, 2018

ভ্রমর কইও গিয়া

Gm
ভ্রমর কইও গিয়া
শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে অঙ্গ যায় জ্বলিয়ারে
ভ্রমর কইও গিয়া।।
ভ্রমর রে …
কইও কইও কইওরে ভ্রমর কৃষ্ণরে বুঝাইয়া
মুই রাধা মইরা যাইমু কৃষ্ণহারা হইয়া রে
ভ্রমর কইও গিয়া।।
ভ্রমর কইও গিয়া শ্রীকৃষ্ণ বিচ্ছেদের অনলে
অঙ্গ যায় জ্বলিয়ারে ভ্রমর কইও গিয়া
ভ্রমর রে …
আগে যদি জানতাম রে ভ্রমর যাইবা রে ছাড়িয়া
মাথার কেশ দুই ভাগ করে রাখিতাম বান্ধিয়া রে
ভ্রমর কইও গিয়া।।
ভ্রমর রে …
ভাইবে রাধা রমন বলে শোন রে কালিয়া
নিভা ছিল মনের আগুন
কে দিলা জ্বালাইয়া।।

Saturday, March 24, 2018

মন আমার দেহ ঘড়ি D

একটি চাবি মাইরা দিলা ছাইড়া জনম ভরি চলিতেছে।
মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে।।

থাকের একটা কেস বানাইয়া মেশিন দিলো তার ভিতর
ওরে রং বেরংয়ের বার্নিশ করা দেখতে ঘড়ি কি সুন্দর।
ঘড়ির তিন পাটে তে গড়ন সারা এই বয়লারের মেশিনের গড়া।
তিনশ ষাটটি ইশকুররম মারা ষোলজন পাহারা আছে।।

ঘড়ি হেয়ার স্প্রিং ফ্যাপসা কেচিং লিভার হইলো কলিজায়
আর ছয়টি বলে আজব কলে দিবানিশি প্রেম খেলায়।
ঘড়ি তিন কাটা বার জুয়েলে মিনিট কাটা হইলো দিলে
ঘন্টার কাটা হয় আক্কেলে মনটারে সেকেন্ডে দিসে।।

ঘড়ির কেসটা বত্রিশ চাকের, কলে কব্জা বেসুমার
দুইশো ছয়টা হাড়ের জোড়া, বাহাত্তর হাজারও তার।
ও মন, দেহঘড়ি চৌদ্দতলা, তার ভিতরে দশটি নালা,
একটা বন্ধ নয়টা খোলা গোপনে এক তালা আছে।।

ঘড়ি দেখতে যদি হয় বাসনা চলে যান ঘড়ির কাছে,
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে ঘড়ির ভিতর লুকাইছে,
ঘড়ির ভিতর লুকাইছে।
পর্দারও সত্তর হাজারে তার ভিতলে লড়ে চড়ে
জ্ঞান নয়ন ফুটলে পরে দেখতে পারবেন চোখের কাছে।।

ওস্তাদ আলাউদ্দিনে ভেবে বলছেন, ওরে আমার মনবোকা,
বাউল রহমান মিয়ার কর্মদোষে হইল না ঘড়ির দেখা।
আমি যদি ঘড়ি চিনতে পারতাম,ঘড়ির জুয়েল বদলাইতাম,
ঘড়ির জুয়েল বদলাইবোকেমন যাই মিস্ত্ররীর কাছে?।।

সোনা বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো

D
সোনা বন্ধে আমারে দেওয়ানা বানাইলো
সোনা বন্ধে আমারে পাগল করিল।
আরে না জানি কি মন্ত্র করি জাদু করিল।। 
 
কবে ক’নে হইল আমার তার সংগে দেখা
অংশীদার নাইরে তার সে তো হয় একা।।
 
রূপের ঝলক দেখিয়া তার আমি হইলাম ফানা
সেই অবধি লাগল আমার শ্যাম পিরিতির টানা।।
 
হাসন রাজা হইল পাগল লোকের হইল জানা
নাচে নাচে পালায় পালায় আর গায় গানা।।
 
মুখ চাইয়া হাসে আমার যত আরি পরী
দেখিয়াছি বন্ধের রূপ ভুলিতে না পারি।।

নিশা লাগিলো রে

D#m
নিশা লাগিলো রে
বাকা দুই নয়নে নিশা লাগিলো রে

হাছন রাজা পিয়ারির প্রেমে মজিলো রে ।।

ছটফট করে হাছন দেখিয়া চান্দ মুখ
হাছন জানের মুখ দেখি জনমের গেলো দুখ ।।

হাছন জানের রূপটা দেখি ফাল ফাল দি উঠে 
চিরাবারা হাছন রাজার বুকের মাঝে ফুটে।।


Wednesday, March 21, 2018

তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো

C#
কত লক্ষ জনম ঘুরে ঘুরে, মনরে......মনরে......
কত লক্ষ জনম ঘুরে ঘুরে,
সাধের  মানব জনম পেয়েছিরে
একবার ভজলে হরি বংশীধারী
নিদয় হয়ো না।

ছেড়ে দেবো না আমি ছেড়ে দেবো না
ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আর পাবো না
না না না আর পাবো না
"তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না "(২)

ভূবনো মোহনো গোরা,
কোন মণিজনার মনোহরা
মণিজনার মনোহরা
আমি নয়নে নয়ন দিয়ে
আর ফেরাবো না না না না.....।

"যাবো ব্রজের কুলে কুলে"
আমরা মাখবো পায়ে রাঙ্গাধুলি
জয় রাধার নামে পাগল হয়ে
থাকবো মগনা...।।

যে ডাকে চাঁদ গৌড় বলে,
ওগো ভয় কিগো তার ব্রজের কুলে
"ওরে দ্বিজ ভূষণ চাঁদ বলে"
চরন ছাড়বো  না, না না না......।।

Friday, March 16, 2018

গাড়ি চলেনা, চলেনা

F
চরিয়া মানব-গাড়ি যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি
মধ্যপথে ঠেকল গাড়ি উপায়-বুদ্ধি মিলে না
গাড়ি চলেনা, চলেনা, চলেনা রে গাড়ি চলেনা।।

মহাজনে যত্ন করে পেট্রল দিলো টেঙ্কি ভরে
গাড়ি চালায় মন-ড্রাইভারে ভাল-মন্দ বুঝে না।।

ইঞ্জিনে ময়লা জমেছে, পার্টসগুলা ক্ষয় হয়েছে
ডায়নমা বিকল হয়েছে হেডলাইট দুইটা জ্বলে না

ইঞ্জিনে ব্যতিক্রম করে, কন্ডিশনও ভালো নয় রে
কখন জানি ব্রেকফেল করে ঘটায়I কোন দুর্ঘটনা।।

আব্দুল করিম ভাবছে এবার, কন্ডেম গাড়ি কি করব আর
সামনে বিষম অন্ধকার করতেছি তাই ভাবনা।।


Thursday, March 8, 2018

আমি কুলহারা কলঙ্কিনী

E
আমি কুলহারা কলঙ্কিনী...!!
আমারে কেউ ছুইয়ো না গো সজনী....


প্রেম করলাম প্রান বন্দুর সনে এ
যে দুঃখ পেয়েছি মনে...!!
আমার কেদে যায় দিন রজনী...!!


প্রেম করা যে স্বগের খেলা
বিচ্ছেদ ও নরক ও জ্বালা...!!
আমার মন জানে, আমি জানি....!!


সখি আমার উপায় বলনা
এ জীবনে দূর হলোনা....!!
বাউল করিম এর পেরেশানী...!!

না না না কদম তলায় আমি যাবো না

G
না না না কদম তলায় আমি যাবো না
ঐ কদম তলার বংশী ওয়ালা গো
ও তার বাশির সুর ভালা না গো
আজ আমার মন ভালা না।।

ও সজনী
আমি যখন রানতে বসি গো সইগো তখন এই ঘটনা
ও তার বাশির সুরে মন উদাসী গো আলো সই ঘরে প্রান বসেনা গো।।

ও সজনী
আমার শাশুরি ননদী (জটিলা কুটিলা) ঘরে গো তারা কেউ ভালা তো বাসে না
আমি যারে দিলাম জিবন যৌবন গো আলো সই সেত ফিরে চায় না গো।।

ও সজনী
আয় গো পুরুষ ভ্রমরা জাতি গো হায় গো নারীর মন বোঝেনা
আয় গো মধু খাইয়া যায় উড়িয়াগো আলো সই করিয়া ছলনা গো।।